নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি হাঁটে জোরপূর্বক ট্রাক থেকে গরু নামানোর সময় গরুর বেপারিদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেপারিরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তায় চায়। ঘটনাস্থলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ পৌঁছালে সেখানে ওই হাটের ইজারাদারের সন্ত্রাসী লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে ফতুল্লা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানসহ ৬ পুলিশ আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে ফতুল্লার ভুইগড় কবির হোসেনের জমিতে আওয়ামী লীগ নেতা মানিক হোসেনের হাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার বিকালে পুলিশ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভূইগড়স্থ সোনালী সংসদের মাঠে জনৈক মানিক এর ইজারাকৃত গরুর হাটে যায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ সময় হাটের লোকজন একটি গরু বোঝাই ট্রাক জোরপূর্বক হাটে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বেপারিরা এই হাটে গরু নামাতে রাজি না হওয়ায় তাদের মারধর করা হচ্ছে। রাত সাড়ে ৮টায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেখে গরুর বেপারিদের মারধর করা হচ্ছে।
এতে পুলিশ ইজারাদারের লোকজনকে বাধা দিলে সন্ত্রাসী লোকজন ইট ও লোহার রড নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে তাদের হামলায় পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানসহ ৬ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- মো. সরদার (২২), অনু (২১) ও মো. সোহেল (৩২)। আটককৃত ওই তিন জন ছাড়াও এ হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন- মো. তানভীর হোসেন (৪৫), সাজিদ (২৫), সজল (৩০), নাজমুল (৩৭), মো. হুমায়ুন কবির (৫০), সাজ্জাদ (২৫), কাজী মাজিদুল (৪৫), মিন্টু (৫০) মোশারফ হোসেন (৫০), বিজু (২৮) ১৪ আশিক (৩০), মাসুদ মেম্বার (৪৮), রবিন (২৪) ও রাসেলসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন।
এ বিষয়ে আহত এসআই মিজানুর রহমান জানান, গুরুর ট্রাক আটকে বেপারিদের মারধরের সময় পুলিশ উপস্থিত হলে আসামিরা অত্যন্ত উশৃঙ্খল আচরণ করেছে। তারা বিনা উস্কানিতে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর