নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়ে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা তার সূচনা বক্তব্যে প্রস্তাবগুলো সংলাপে উপস্থাপন করেন।
আজ সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বাদশার নেতৃত্বে দলটির ৯ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, কামরূল আহসান, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য এ্যাড. জোবায়দা পারভীন এবং তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ ইঞ্জিঃ আব্দুল্লাহ। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতিবিনিময় সভায় ওয়ার্কার্স পার্টি ১১ দফা প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন। সরকার যাতে নির্বাচনের সময় ক্ষমতার প্রভাব খাটাতে না পারে তার জন্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার দৈনন্দিন কার্যাবলী ছাড়া নীতিগত বা উন্নয়নমূলক কোন কাজ করতে পারবে না। নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্বাচকালীন সম্পর্কিত কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনের অধীন ন্যস্ত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের পূর্বে তিনমাস ও পরের তিনমাস নির্বাচনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বদলী, পদোন্নতি, কর্তব্যে অবহেলার জন্য শাস্তি প্রদানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ হিসাবে কাজ করবে। এর জন্য সংবিধানের সংশোধনের কোন প্রয়োজন পরবে না।
ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে চলমান বিভ্রান্তি দূর করতে তালিকা কেবল প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দেয়াই যথেষ্ট হবে না, এখন প্রযুক্তির উন্নতির পর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং যথাযথ প্রচারের মাধ্যমে ভোটারদের সংশোধন-সংযোজনের সুযোগ দিতে হবে।
এছাড়াও নির্বাচনী সীমানা পুননির্ধারণ, নির্বাচনে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা, নির্বাচনকে সন্ত্রাস পেশী শক্তির প্রভাব ও দুর্বৃত্তমুক্ত করা, নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনে সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ইভিএম ব্যবহারের মতো প্রস্তাব করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল