জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত আবারও আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করছে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মত ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে তারা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র প্রক্রিয়া হলো নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনকে পাশ কাটিয়ে তারা আবারও গায়ের জোরে জ্বালাও-পোড়াও এর মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার এক ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত। কিন্তু এটা আর মানা হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের নৈরাজ্য প্রতিহত করা হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তির সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বৃহত্তর মিরপুরের সকল থানা এবং তার ওয়ার্ড ও ইউনিটে ‘বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টি, সাধারন মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন, ভাংচুর ও জ্বালাও-পোড়াও এর মত অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তির এই সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেয়।
মিরপুর পূরবী সিনেমা হলের সামনে এক খোলা মঞ্চে সমাবেশে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বিএনপি রাস্তায় নেমেছে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে। কিন্তু আমরাও রাস্তায় ছিলাম। রাস্তায় আছি। রাস্তায় থাকবো। বিএনপি ও তাদের দোসরদের কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেব না। তারা যদি আবারও সেই নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
এদিন সভা ও মিছিল পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সব সময় দেশের গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছে। তারা আন্দোলনের নামে মানুষকে হত্যা করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আবারও নৈরাজ্য করতে লাঠি মিছিল করছে। তাই আর মানা যায় না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা মতিউর রহমান মতি, আজিজুল হক রানা, মিজানুর রহমান মিজান, এ বি এম মাজার আনাম, সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু। সভায় সাবেক এমপি ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আকতার তুহিন, মহানগর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক নাজমুল আলম ভূঁইয়া জুয়েল, কাফরুল থানা আওয়ামী লীগ নেতা লিটনসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা বিশাল মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক