বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নকে নস্যাৎ করা। তারা বাংলাদেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়।
বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার যুগান্তকারী উন্নয়নগুলো আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যার এই উন্নয়ন এদেশের সকল মানুষের জন্য। বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা নস্যাৎ করে দিয়ে এদেশের মানুষের সকল অর্জনকে নষ্ট করে দিতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা এবং পরবর্তীতে প্রকাশিত তাদের তথাকথিত রাষ্ট্র মেরামতের প্রস্তাব সমূহ হাস্যকর। বিএনপি বলছে, পার্লামেন্ট বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঠুনকো কোনো বিষয় নয়। আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা মোটেও সহজ কাজ নয়। এদেশের প্রতিটি ধূলিকণা, ঘাস লতাপাতা আর শিশির বিন্দুর সাথে আওয়ামী লীগ মিশে আছে। এদেশের লক্ষ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ বেঁচে আছে । লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামী লীগের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে মায়া কান্না করে কোনো লাভ নেই। এই ব্যবস্থা এখন একটি ‘পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড চ্যাপ্টার’। আওয়ামী লীগ এই ব্যবস্থা বাতিল করেনি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে অবৈধ ও অসংবিধানিক ঘোষণা করে এই ব্যবস্থাকে বাতিল করে দেয়। সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সকল নির্দেশ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিসহ সংসদ, সরকার ও সকল আদালতের উপর বাইন্ডিং। একজন মৃত প্রাণীর যেমন কোনো কার্যকারিতা থাকে না, তেমনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা একটি মৃত ব্যবস্থা, যা ফিরিয়ে আনার সাংবিধানিক, আইনি ও প্রশাসনিক কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের ‘সিভিলাইজড নেশনস’ বা ‘সভ্য জাতি’ হিসেবে প্রচার করে। এই সকল সভ্য রাষ্ট্রে যে প্রক্রিয়ায় বা যে ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়, একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে ইনশাল্লাহ। কোনো ষড়যন্ত্র আর নৈরাজ্যে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের নানা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১২ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই