গ্রামের বাড়ি তকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে রাজধানীতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় করা মামলায় তিনজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের হাজির করে পুলিশ।
এসময় আসামি আল-আমিন হোসেন, সবুজ ও শফিকুল ইসলাম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী আসামি শফিকুলের, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি সবুজের এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আসামি আল আমিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে আসামি বিল্লাল হোসেন ও রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, আসামিদের রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বসিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী স্বামী-সন্তানসহ মোহাম্মদপুরের বসিলায় বসবাস করতেন। ৪ মাস আগে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে তিনি যশোরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাকে তালাক দেন। গত ২৫ জানুয়ারি তালাকের কারণ জানতে ও এ বিষয়ে আলোচনা করতে স্বামীর সাক্ষাতের জন্য ঢাকায় আসেন তিনি।
সেদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি তার আগের বাসায় এসে তার স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এভাবে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত বসিলা চল্লিশফিট, ফিউচার হাউজিং, গার্ডেনসিটি হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করে সন্তানদের সন্ধান না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ওইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বসিলা চল্লিশফিট তিনরাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশা নেন। রিকশাচালক প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে বসিলা ফিউচার টাউনের একটি জায়গায় গিয়ে রিকশাচালক তার সঙ্গীরাসহ ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সংবদ্ধ ধর্ষণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক