প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভাল ফলাফলের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেছে কমার্স বিশেষায়িত দেশ সেরা কলেজ ‘ঢাকা কমার্স কলেজ’। বুধবার প্রকাশিত ২০২২ সালের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় কলেজটির দুই হাজার ৮০২ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে দুই হাজার ৭৯৫ জন কৃতকার্য হয়। এবার পাসের হার ৯৯.৭৫ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান এই উভয় শাখা থেকে সর্বমোট এক হাজার ৭২০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করে। ভর্তিকালীন সময়ে উভয় শাখার ২৮৩ জন ছিল জিপিএ ফাইভ অর্জনকারী। অর্থাৎ এই কলেজে ভর্তির পর এক হাজার ৪৩৭ জনই জিপিএ ৫ অর্জন করে।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে এক হাজার ২৭৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কৃতকার্য হয় এক হাজার ২৭৪ জন। তার মধ্যে জিপিএ-৫ অর্জন করে ৫৬১ জন। পাসের হার ৯৯.৯২ শতাংশ। ভর্তিকালীন সময়ে এই শিক্ষার্থীদের মাত্র ৪২ জন ছিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত। ৫১৯ জনই কলেজটির আন্তরিক নার্সিং তথা তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে জিপিএ-৫ অর্জন করে। উন্নয়নের শতকরা হার প্রায় ১০০ শতাংশ। ২০১৯ সালে খোলা বিজ্ঞান শাখা থেকে এক হাজার ৫২৭ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে পাস করে ১৫২১ জন। তার মধ্যে জিপিএ-৫ অর্জন করে ১১৫৯ জন। পাসের হার ৯৯.৬১ শতাংশ। ভর্তিকালীন সময়ে এই শিক্ষার্থীদের মাত্র ২৪১জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছিল। ৯১৮ জনই কলেজটির আন্তরিক নার্সিং তথা তত্ত্বাবধানে জিপিএ-৫ অর্জন করে। উন্নয়নের শতকরা হার প্রায় ১০০ শতাংশ।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ১৯৯১-২০০২ সাল পর্যন্ত কলেজের গড় পাসের হার ছিল ৯৯.৪১ শতাংশ এবং জিপিএ পদ্ধতিতে ২০০৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে কলেজের গড় পাসের হার প্রায় ১০০ শতাংশ। ভাল ফলাফল অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু মাসুদ বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ভালো ফলাফল অর্জনের ব্যাপারটিতে গুরুত্বারোপের মাধ্যমেই মূলত আমাদের ধারাবাহিক এই অর্জন।
তিনি আরো বলেন, দেশসেরা ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের দুর্লভ সুযোগ ও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে আলোকিত মানুষ তৈরির একনিষ্ঠ অংশগ্রহণেই আমরা অধিকতর যত্নশীল। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ র্যাংকিং ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ এ ঢাকা কমার্স কলেজ দেশের সেরা বেসরকারি কলেজের স্বীকৃতি অর্জন করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক