রাজশাহীতে এমপাওয়ারিং উইমেন থ্রো সিভিল সোসাইটি অ্যাকটরস ইন বাংলাদেশ (ইডব্লিউসিএসএ) কর্মসূচির অধীনে এবং স্ট্রেনদেন উইমেন’স মুভমেন্ট ফর ইনক্রিসড পার্টিসিপেশন অব ওয়ার্কিং অ্যাট ইনফরমাল অকুপেশন ইন রাজশাহী শীর্ষক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) আয়োজনে ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহ-অর্থায়নে উন্নয়ন সহযোগী অক্সফাম ইন বাংলাদেশ’র সহযোগিতায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশের শাসন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত ও ত্বরান্বিত করতে প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক পেশার ক্ষমতায়নে কর্মসূচিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বক্তারা।অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আনিসুল ইসলামের সভাপত্বিতে প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম অফিসার (পার্টনারশীপ এ্যাসেসমেন্ট) মো. ইউসুফ বক্তব্য রাখেন ।
প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় স্বাগত বক্তব্যে এসিডি নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ার বলেন, গৃহকর্মে নিয়োজিত নারী কর্মীদের ক্ষমতায়ন এবং লৈঙ্গিক সমতার প্রতি সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করতে সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং নিয়োগকর্তার সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র পক্ষ থেকে প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মনিরুল ইসলাম পায়েল। পাশাপাশি গৃহকর্মে নিয়োজিত নারী কর্মীদের অবস্থান নিরূপণ’ সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ।
প্রধান অতিথি রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, রাজশাহীর সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতে, বাস্তবায়িত প্রকল্পটি বৈষম্যমূলক প্রথা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন, নারীদের কাজের গতিশীলতা এবং নেতৃত্ব উন্নয়নের মাধ্যমে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিতে সমাজের মূলধারার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিক পেশায় কাজ করা প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার প্রতি সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুধু প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই হবে না, নারী গৃহকর্মীদের মর্যাদা নিশ্চিত কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আনিসুল ইসলাম বলেন, গৃহকর্মে নিয়োজিত নারী কর্মী বিশাল একটি ওয়ার্কফোস, তাদেরকে অবমূল্যায়ন করা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য হবে না। তাদের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিশ্চিত করতে কাউকে পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন নয়-এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার জেসমিন আকতার, রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহা. আলম আলী, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম সুমন, রাজশাহী ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের অফিসার ইনচার্জ মোহতারেমা আশরাফি খানম, সাইবার ট্রাবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার রাশেদা পারভীন প্রমুখ। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৮, ১৯, ২৪ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।