২৪ মার্চ, ২০২৩ ১৪:০৬

প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নিত চক্রটি, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক

প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নিত চক্রটি, অতঃপর…

প্রতীকী ছবি

নাম তার ইউনুস, বয়স ২৭ বছর। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয় হৃদিতা রহমান নামে একজনের সঙ্গে। তার আকর্ষণীয় ছবি, সুন্দর বচনভঙ্গি আর মোহনীয় রূপে আকৃষ্ট হয়ে মাত্র পাঁচ দিনের পরিচয়েই থেকে ঢাকায় আসেন ইউনুস।

হৃদিতার সঙ্গে দেখা হওয়ার স্থান নির্ধারিত ছিল রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ প্রাঙ্গণে। এতে ইউনুসের মনে বিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়।

গভীর বিশ্বাস নিয়ে গত ১৪ মার্চ ইউনুস হৃদিতার সাথে দেখা করতে ঢাকায় আসেন। সেখানে পৌঁছামাত্রই হৃদিতার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এগিয়ে আসে আদনান ও জিসান নামে দু’জন ব্যক্তি। ইউনুস যথারীতি তাদের সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকেন একটি গলি ধরে। হৃদিতার দেখা আর মেলে না। ততক্ষণে ইউনুস বুঝে ফেলে হৃদিতা নামে কেউ নেই; অবশ্য পেছনে ফেরারও আর কোন উপায় নেই! দু’জন ইউনুসকে নিয়ে এলো এক লেপ তোশকের গোডাউনের সামনে।

সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা তামিমসহ সকলে মিলে ইউনুসকে আটকালো সেই গোডাউনে। সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, দামি ঘড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে মুক্তিপণের জন্যে ফোন দেওয়া হল ইউনুসের বন্ধুকে।

ফোন পেয়েই বিপদ বুঝে বন্ধু সরাসরি ওয়ারী থানা পুলিশের সহায়তা চায়। সংবাদ পেয়ে ওয়ারী থানার চৌকস টিম ঝটিকা অভিযান চালিয়ে দ্রুত আলামতসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে জানা যায়, মূল অভিযুক্ত আদনান আগেও এরকম ১২-১৪টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ পেতে প্রতারণার মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে জিম্মি ও সর্বস্ব লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে। সঙ্গী ‘জয়’কে নিয়ে ইতোপূর্বে আদনান নিজের বাড়ির খোলা ছাদে সমস্ত ঘটনা ঘটিয়েছে। সেসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে পুলিশের কাছে পূর্বে কোনও অভিযোগ করেননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র: ডিএমপি নিউজ

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর