রংপুরে ঈদুল ফিতরের পরের দিন বিনোদন উদ্যানগুলোতে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শিশু-কিশোরদের সাথে অভিভাবকদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। তারা প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে মেতে উঠেছিল ঈদ আনন্দে।
রংপুর মহানগরীর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা, তাজহাট জমিদার বাড়ি ও জাদুঘর, চিকলিপার্ক, কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান, টাউন হল চত্বরসহ সবস্থানেই দেখা গেছে মানুষের ঢল। একই চিত্র শহর থেকে একটু দূরের ভিন্নজগত, আনন্দনগর, মহিপুরঘাট ও কাউনিয়া তিস্তাসড়ক সেতু পয়েন্টেও। ছোট-বড় সব বয়সী মানুষ ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত রয়েছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকালে রংপুরের কয়েকটি বিনোদন স্পটগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রংপুর চিড়িয়ারখানার ভিড় ছিল দেখার মতো। অনেক অভিভাবক তাদের শিশুসন্তান নিয়ে এসেছেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। রবিউল ইসলাম নামে একজন এসেছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে। তিনি বলেন, ঈদের পরের দিন সময় কাটাতে তারা এখানে এসেছেন। তাদের মতো অনেক দম্পতি সন্তানসহ এসেছেন চিড়িয়াখানায়।কিশোর-তরুণদের দেখা গেছে, ছোট ছোট পিকআপে করে বিনোদন কেন্দ্রে আসছেন। নগরীতে অবস্থিত তাজহাট রাজবাড়ি ও জাদুঘর। ঈদের পর দিনই এখানে সব মানুষের পদচারণায় মুখর ছিল। ঐতিহ্যবাহী এই বাড়ি রংপুরের বিনোদন প্রেমিদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়।
অন্যদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রংপুর বেতার কেন্দ্রের কোল ঘেঁষেই নির্মিত রংপুর সিটি চিকলি পার্ক। সেখানে বিশাল চিকলি বিলের আশপাশ ঘিরে সাজানো হয়েছে শিশু-কিশোরদের আকৃষ্ট করার মতো নানা আয়োজন। বিলের বুকে স্পিডবোট চলছে দ্রুত বেগে এপাশ থেকে ওপাশ। হই-হুল্লোরে মেতে উঠছে সবাই।
রংপুর চিড়িয়াখানার শিশুপার্কে দলবদ্ধভাবে ঘুরতে আসা একদল তরুণ বলেন, বেশ মজাই হয়েছে।
রংপুর চিড়িয়াখানার ইজারাদার বলেন, দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম। তবে দর্শনাথী আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুরসহ আশপাশ এলাকায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিডি প্রতিদিন/এমআই