রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে চলন্ত প্রাইভেটকারে হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এক পরিবারের তিন সদস্য। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই সড়কে সাময়িক যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
জানা গেছে, গাড়িটির মালিক রাজধানীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক মোছা. রাফিয়ার। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে তিনিসহ তার মেয়ে ও ছোট ভাই ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই ফুটপাতে মেয়েকে জড়িয়ে বসে ছিলেন রাফিয়া। আর ছোট ভাই তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
এ সময় দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাফিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, গাড়িটি আমি নিজেই চালাচ্ছিলাম। হঠাৎই গাড়ির সামনে ইঞ্জিনের অংশে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে কোনো রকমে মেয়ে ও ভাইকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। আমার গাড়িতে কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। কিভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না। আল্লাহর রহমতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি।দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মমিমুল ইসলাম নামে এক সিএনজিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, গাড়িটি থামার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ আরো কয়েকজন পথচারী বালি ও পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নেভায়। কিন্তু ততক্ষণে পুরো গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক