উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভোট নিয়ে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।
তবে তরুণ ভোটাররা মানিয়ে নিতে পারলেও ইভিএমে ভোটদানে জটিলতায় পড়ছেন বয়স্ক ভোটাররা। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও বেশ ধীর গতিতে এগোচ্ছে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। ভোটারদের যথেষ্ট উপস্থিতি থাকলেও ভোটগ্রহণের শম্বুকগতির কারণে শতভাগ ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন ভোটাররা।
গাজীপুরের নাওজোড় এলাকার ১৮ নং ওয়ার্ডের আলেকজান বালিকা উচ্চ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দুইটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৫৯২ জন। সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেল ভোটারদের দীর্ঘ সারি কলেজ প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে গেটের বাইরে চলে গেছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে কিছু ভোটার লাইনের মাঝে বেঞ্চ পেতে বসে পড়েছেন। কথা হলো লাইনের শুরুর দিকে দাঁড়ানো তরুণ ভোটার রেজা মোহাম্মদের সাথে। এবারই প্রথম ভোট দিচ্ছেন। জানালেন, লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তিন ঘণ্টা ধরে। যে গতিতে ভোটগ্রহণ চলছে তাতে তার সামনে দাঁড়ানো বিশ জনের ভোট দিতে কমপক্ষে আরও দুই ঘন্টা লাগবে।
টঙ্গীর ৫২ নং ওয়ার্ডের গুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও দেখা গেল ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। তবে এখানেও ধীর গতিতে চলছে ভোটগ্রহণ। পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বলে জানা গেল, বয়স্ক ভোটারদের ভোট নিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ইভিএমের সাথে মানিয়ে নিতে তূলনামূলক বেশি সময় লাগছে তাদের। তবে তরুণ ভোটাররা বেশ দ্রুতই ভোট দিচ্ছেন।
তরুণ ভোটার সাইদুল ইসলাম বলেন, ইভিএমে আমার ভোট দিতে সময় লেগেছে এক মিনিট। অথচ আমার সামনে দাঁড়ানো এক বয়স্ক ব্যক্তি সময় নিয়েছেন চার মিনিট। ভোটের পূর্বে ইভিএম কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রচার প্রচারণা চালানো উচিৎ ছিলো।
জয়দেবপুরের মদিনাতুল আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে বেলা ১২টায় খোজ নিয়ে জানা যায়, চার ঘন্টায় ২৫৭৩টির মধ্যে মাত্র বিশ ভাগ ভোট পড়েছে। অথচ ভোটকেন্দ্রের সামনে এখনো ভোটারদের দীর্ঘ সারি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো ভোটকেন্দ্রের সামনেই ইভিএমের প্রয়োজনীয় ব্যবহার নির্দেশিকা নেই।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন