রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্ত্রী মোছা. বানু বেগম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান বানু বেগমকে আদালতে হাজির করেন। বানু বেগম স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর এশারত আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রিকশাচালক স্বামী শামীম মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার পর জাতীয় হেল্পলাইন ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বানু বেগম।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ইন্সপেক্টর (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা) আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টায় মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার সাদেক খান রোডের একটি তিনতলা ভবনের নিচতলা থেকে বানু বেগম নামে একজন কলার ৯৯৯ এ ফোন করে জানান, তিনি তার স্বামীকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন। এখন তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান। এ অবস্থায় কলার দ্রুত পুলিশ টিম পাঠানোর অনুরোধ করেন।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল তানভীর কলটি রিসিভ করেন। তানভীর তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদপুর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। সংবাদ পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শামীমের মৃতদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে এবং হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বানুকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বানু নিহত শামীম মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। দাম্পত্য কলহ ও যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে প্রায়ই মারধর করতেন। এরপর দ্বিতীয় বিয়ের ৩ মাস না যেতেই স্ত্রীর হাতে খুন হলেন স্বামী শামীম মিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক