রাজধানীর উত্তরায় খুনসহ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
শনিবার মিরপুরের কচুক্ষেত সংলগ্ন সাগরিকা বস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম মো. নাসির। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রফিককে দক্ষিণখানের একটি বস্তি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সাহা জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত অনুমানিক সাড়ে ৩টায় উত্তরা ৭নং সেক্টর বিএনএস টাওয়ারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের ফ্লাইওভারে ওঠার সময়ে এক ছিনতাইকারী ধীরগতির চলন্ত পিকআপে ওঠে। মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় গাড়িতে থাকা দেলোয়ার হোসেন তাকে ধরার চেষ্টা করলে ছিনতাইকারীর অন্য দুই সহযোগী এসে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে দুই ভাইকে গুরুতর আহত করে মোবাইল ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ধস্তাধস্তির সময় ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক আহত দুই ভাইকে চিকিৎসার জন্য কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত অপর ভাই আনোয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ঘটনার পরপরই সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রফিককে দক্ষিণখানের একটি বস্তি থেকে এবং নাসিরকে মিরপুরের কচুক্ষেত সংলগ্ন সাগরিকা বস্তি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ছিনতাইয়ের কৌশল সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, গ্রেফতার মো. রফিক (৩৮) ট্রাক, মিনিট্রাক, পিকআপ গাড়ি টার্গেট করে খুব দ্রুত সময়ে গাড়িতে উঠে যায়। ছিনতাই করার সময় স্পটে থাকেন মো. নাসিরসহ (২০) অজ্ঞাতনামা আসামিরা।
তাদের কাজ হচ্ছে ছিনতাই করার সময় যদি ছিনতাইকারী জনগণের কাছে ধরা পড়ে তাহলে চাকু দিয়ে জনগণকে জখম করে ছিনতাইকারীকে ছিনিয়ে আনা এবং সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় সাহা জানান, তারা দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবৎ রাজধানীর উত্তরা, এয়ারপোর্ট, আবদুল্লাহপুর, কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে থাকে। আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।
মামলার প্রথম আসামি মো. রফিকের (৩৮) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩টি মাদক মামলা রয়েছে। দ্বিতীয় আসামি নাসিরের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলার রয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ