আশুলিয়ায় একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে ছেলেসহ পোশাকশ্রমিক দম্পতির গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানো হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে পারেনি।
খবর পেয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।
শনিবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ইউনিক এলাকার ফকির বাড়ির মোড়ে মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মা-বাবা ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন (৪৩), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩৪) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় পৃথক পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
স্থানীয়রা বলেন, শনিবার রাতে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। রাতে দরজা খুলে একটি কক্ষের বিছানার ওপর মা শাহিদা বেগম ও ছেলে জয়ের রক্তমাখা মরদেহ এবং পাশের ঘরে বাবুল হোসেনের মরদেহ পাওয়া যায়।
আশুলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কারখানার থেকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী সাহিদা পৌনে ৯টার দিকে বাসায় আসে ও স্বামী রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আসে বাসায়। কিন্তু পরে দিন সকালে ফোন কল কি ভাবে আসে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের হত্যা করা হয়েছে সকালে।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং জড়িতদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, সিআইডি ও গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে মোবাইল ফোনে সূত্র ধরে র্যাব ৪ এর প্রতিনিধি দল একজন গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
নিহত বাবুল হোসেনে ছোট বোন মনোয়ারা বেগম রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার ভাই আমার বন্ধুর মত. সব কথা আমার সাথে শেয়ার করত। আমাদের সাথে কারও শ্রত্রুতা ছিল না, কেন আমার ভাইকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হলো, জানি না। আমি এই খুনিদের বিচার চাই। আমি ঠাকুরগাঁও থেকে সকালে এসেছি। আশুলিয়ার থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ