২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে মাওলানা সাদপন্থীদের হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ কর্তৃক ‘১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ওলামা-তোলাবা ও তাবলিগের নিরীহ সাথীদের ওপর সাদপন্থীদের নগ্ন হামলার বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
লিখিত বক্তব্যে মুফতি আমানুল হক বলেন, দিল্লির মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারী তথা সাদপন্থী নেতা ওয়াসিকুল ইসলামের কথায় ময়দানে প্রস্তুতিতে কর্মরত নিরীহ নিরস্ত্র সাধারণ মুসল্লি তাবলিগের সাথি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর ধাঁরালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের সাথীরা সেদিন পূর্ণভাবে আমল করে আসছিলেন। আমাদের সাথীদের হাতে সেদিন তাসবিহ ছিল। ময়দানের পূর্ব পাশে সাদপন্থীদের নৃশংস আক্রমণে আমাদের অন্তত ৫ হাজার নিরস্ত্র সাধারণ মুসল্লি তাবলিগের সাথি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র শিক্ষক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তারা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাদের থেকে টঙ্গী ময়দানের পশ্চিম উত্তর কোণে অবস্থিত কোমলমতি ছাত্র-শিক্ষকদের কেউই রেহাই পায়নি। আমরা বলতে পারি, এই ঘটনায় আওয়ামী সরকার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমরা চাই এই সরকার এই হামলার যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত ন্যায়বিচার করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই জনগণের এই সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ এর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের নৃশংস হামলা ও হতাহতের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করবেন। অপরাধীদের শনাক্ত করবেন এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবেন।
আল মানহাল মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারীর পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ ও হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমি, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মুফতি মাসউদুল করিম, মুফতি বশিরউল্লাহ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন