নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফিট সড়কে দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম (২২) নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে রিমান্ড শেষে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মহসীন তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসীনের আদালত তাদের জিজ্ঞাসাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মুবিন আল মামুন ও তার দুই বন্ধু মো. মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরী। তাদের মধ্যে মুবিন আল মামুন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে এবং তিনিই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন।
তার আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে পূর্বাচল ৩০০ ফিট নীলা মার্কেট (কুড়িল-কাঞ্চন সড়ক) এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলকে দ্রুতগতির প্রাইভেটকার ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহতাসিম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সেই সাথে অমিত সাহা ও মেহেদী হাসান গুরুতর আহত হয়।
নিহত মোহতাসিম ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মাসুদ মিয়ার ছেলে। আহত অমিত ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার তপন কুমার সাহার ছেলে এবং মেহেদী কুমিল্লা সদরের মফিজুর রহমান খানের ছেলে। ঘটনার পর প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে এক ক্যান বিয়ার ও একটি খালি মদের বোতল পাওয়া গেছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে ডোপ টেস্ট করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, ডোপ টেস্টে ২ জনের পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে প্রাইভেটকারের চালক মুবিন আল মামুনের শরীরে গাঁজা ও অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। আর আরোহীদের মধ্যে মিরাজুল করিমের শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নিহত মুহতাসিম এর বাবা মাসুদ বাদী হয়ে সড়ক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। সেই সাথে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মাদক মামলা দায়ের করেছেন। সেই মাদক মামলাতেও তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ