অবিরাম বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলমান নির্মাণকাজ ও মদনপুরের এশিয়ান হাইওয়ের করুণ অবস্থা।
এসব কারণে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দিনভর নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ি ধীর গতিতে চলেছে, কোথাও আবার সম্পূর্ণ থেমে ছিল। দীর্ঘ যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন নারী ও শিশুরা। বৃষ্টির পানিতে খানাখন্দ ভরে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বড় বড় গর্তে আটকে একাধিক ট্রাক ও বাস বিকল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নির্মাণ কাজের কারণে বিকল্প রাস্তাগুলোতেও চাপ বেড়ে যায়। মদনপুরে এশিয়ান হাইওয়ের খানাখন্দের ও নাজুক অবস্থার কারণে স্বাভাবিক যানবাহন প্রবাহ ব্যাহত হয়, যা শেষ পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
এ বিষয়ে যাত্রী খোকন আহমেদ বলেন, ‘সাধারণত ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে তিন ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ আট ঘণ্টা ধরে রাস্তায় আছি। খানাখন্দ ও যানজটের কারণে ভোগান্তির শেষ নেই।’
এদিকে, মহাসড়কঘেঁষা ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল ভান্ডারী জানান, ‘যানজটের কারণে গ্রাহক আসতে পারছে না। পণ্য পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিনই বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হচ্ছি। দ্রুত সড়ক সংস্কার এবং অব্যবস্থাপনা দূর করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।’
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নির্মাণ কাজ এবং মদনপুর থেকে এশিয়ান হাইওয়ের রাস্তার অবস্থা নাজুক হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। এছাড়া কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাড়ি খুবই ধীর গতিতে চলছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত