অর্থমন্ত্রী কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে লাভ করতে চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই, বিনিয়োগ করলেই হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উত্তম জায়গা। আর আগামীর কথা চিন্তা করে এখনই বিনিয়োগের সুবর্ণ সময়। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ সফররত কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্পেশাল ইকোনমিক জোন করে কাইকো খুবই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবে কেননা বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। বাংলাদেশ দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অগ্রগতির সব খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তাই এখনই বিনিয়োগের সুবর্ণ সময়। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কোরিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানব সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তাছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। যাতে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়। সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এক দিকে থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আর অন্যদিকে থাকবে দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। কোইকা প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। আমি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরব, যাতে বিনিয়োগকারীরা এদেশে আসেন। ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি। এ সম্পর্কে বলেন, এক সময় তাদের দেশেরও এই অবস্থা ছিল। এটা সমাধানযোগ্য সমস্যা। তাই তিনি দেশে ফিরে কোরিয়ার যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবেন। তিনি জানান, কোইকা ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এখন চলমান টি প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
