ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর দ্রব্যের কারখানা অপসারণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে যেসব বাসা বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতিকর কেমিক্যালজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যাবে সেখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল ডিএসসিসির নগর ভবনের সেমিনার কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণকল্পে এক বিশেষ জরুরি সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জরুরি সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুর রহমান, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, তিতাস গ্যাসের এমডি মোস্তফা কামাল, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক সোহরাব আলী, বিস্ফোরক অধিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক শামসুল আলম, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহম্মাদ ফেরদৌস খান, ডিপিসির এমডি বিকাশ দেওয়ানসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি এবং পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণের কাজ শুরু হবে জানিয়ে মেয়র খোকন বলেন, এ জন্য দুই স্তরের টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। প্রথম স্তরে থাকবে সেবা সংস্থাগুলোর প্রধানসহ অন্য উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা এ কার্যক্রমবিষয়ক পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও বাস্তবায়নের কাজ করবেন। আর দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা অন গ্রাউন্ডে থেকে কাজ করবেন। সংস্থাগুলোর প্রধানদের উদ্দেশে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘অভিযানের সময় যেসব বাসায় বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতিকর কেমিক্যালজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যাবে, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন। আমরা ১৫টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। দুই-তিনটি ওয়ার্ডে একসঙ্গে কাজ করা হবে।’