সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডাকসুতে সুবাতাস বইবার সুযোগ এসেছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ‘ছাত্র রাজনীতিতে সুবাতাস বইবার সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সকালে কৃষক দলের এক সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) ডাকসু নির্বাচন। কোন দল জিতবে বা কোন দল জিতবে না, নির্বাচনে কাল কী হবে- সেটা আমরা পরে বিবেচনা করব। কিন্তু এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে একটা সুবাতাস বইবার সুযোগ পেয়েছে এখন পর্যন্ত। এটাকে যদি রক্ষা করা যায় তাহলে রাষ্ট্রের জন্য, জাতির জন্য নিঃসন্দেহে ভালো কাজ হবে যে, আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারব।’ গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির এই সভা হয়। কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের পরিচালনায় কৃষক দলের তকদির হোসেন মো. জসিম, নাজিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জিয়াউল হায়দার পলাশ, মাইনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময়ে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ছাত্র সংগঠনগুলো এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে -আমি সেটাকে স্বাগত জানাই। কারণ ডাকসু নির্বাচন ২৮ বছর হয়নি। এটি আরেকটি ক্যান্সারের সৃষ্টি করেছিল। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়ার যে কারখানা সেই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল।

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যে রাজনৈতিকভাবে কিছুটা অনীহা এসে গিয়েছিল বা পিছিয়ে যাচ্ছিল, সেটাতে আবার একটা আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।’ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ‘ন্যক্কারজনকভাবে সরকারি দল সবকিছু ব্যবহার করে’ ফলাফল নিয়ে যাওয়ার কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর একটা নির্বাচন করেছে। আমরা ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে গেছি ও জোট গঠন করে গেছি। কেন? আমরা ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলাম। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলন তৈরি করে আমরা জনগণের অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এরা কী করেছেন?’

তিনি বলেন, ‘গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা বলেছিলাম নিরপেক্ষ লোকদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। সেটা করা হয়নি। তারা তাদের পোষ্য লোকগুলোকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। সেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই নির্বাচনকে পুরোপুরিভাবে যেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আওয়ামী লীগ যেন জয়ী হতে পারে তার জন্য তারা কাজ করেছেন। এই নির্বাচন আপনারা দেখেছেন, সবাই ভুক্তভোগী এবং এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা যে নজির সৃষ্টি করেছে তা নজিরবিহীন। অতীতে কেউ তা দেখেনি।’

নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। তার প্রমাণ আপনারা দেখেছেন যে, গত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে যায়নি। আবার উপজেলা নির্বাচন শুরু হয়েছে। সেখানেও পত্র-পত্রিকায়, মিডিয়ায় আমরা দেখছি যে, কারও কোনো আগ্রহ নেই। ৭৫/৮০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। অর্থাৎ নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানটা শেষ হয়ে গেল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর