মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ৮ এবং ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর ড. মোমেনের। ওই নির্বাচন নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের যে বিভ্রান্তি/প্রশ্নের অবতারণা করা হয়েছে তা নিরসনকল্পে বহু বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকালে (২০১৫ সালে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে ফেরার আগে ৩৪ বছর ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে) মার্কিন রাজনীতিকদের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক কাজে লাগাবেন ড. মোমেন। খবর এনআরবি নিউজের। এ বৈঠকের সমন্বয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উভয় দেশের কূটনীতিকরা সঙ্গত কারণে নাম গোপন রাখার শর্তে ২৯ মার্চ এ সংবাদদাতাকে জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্কে নয়া দিগন্তের সূচনা ঘটবে পম্পেও-মোমেনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে। ভৌগোলিক এবং অন্যান্য কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ায় মার্কিন প্রশাসন বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে আগ্রহী।
জানা গেছে, বৈঠকে জিএসপি পুনর্বহাল, বঙ্গবন্ধুর ঘাতক এবং একাত্তরের ঘাতক হিসেবে দি তদের দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া, রোহিঙ্গা ইস্যুও স্থায়ী নিষ্পত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে জোরদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। এ সময় জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দুই দেশের সহযোগিতার ভিত প্রসারের কথাও হতে পারে বলে একাধিক সূত্রে বলা হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টে বৈঠকের পর ঢাকার ফেরার পথে নিউইয়র্কে যাত্রা বিরতি দেবেন ড. মোমেন। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এটি ৮ এপ্রিল হওয়ার কথা। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টে বৈঠকের তারিখ ১০ থেকে ৮ এপ্রিলে এগিয়ে আসায় নাগরিক সংবর্ধনার তারিখেও পরিবর্তন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ড. মোমেনকে নিয়ে একটি সমাবেশ করার প্রস্তুতি চলছে।একই সঙ্গে নিউইয়র্কে নিজস্ব ভবনে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট অফিস স্থাপনের বহু পুরনো একটি দাবিরও বাস্তবায়ন ঘটাতে বদ্ধ পরিকর এই মন্ত্রী।