শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকার দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র হরণ করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সরকার। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচন করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। আগামী ২২ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি ১০ দিনের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশে একদলীয় শাসন ভর করেছে। মানুষের সব অধিকারকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। কীভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া যায় তার জন্য হীন ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই। যে জাতি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিল, সেই জাতির কাছ থেকে গণতন্ত্রকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও পরনির্ভরশীল দেশে পরিণত করার জন্য এই সরকার তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে গোটা জাতি একটা গভীর সংকটে আছে, আর তা হচ্ছে- গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মিলাদ মাহফিল, সকাল থেকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ের নিচে ড্যাবের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঢাকা মহানগরীতে দুস্থদের মধ্যে কাপড় ও ইফতারসামগ্রী বিতরণ, ছাত্রদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ৩০ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং নেতা-কর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ। দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি পোস্টার প্রকাশ করবে। পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এ ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিজেদের সুবিধা মতো সময় অনুযায়ী আলোচনা সভা, ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবে। একই সঙ্গে জেলা ইউনিটগুলো আলাদা কর্মসূচি নেবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ অংশ নেন। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর বিএনপির হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, বজলুল বাসিত আনজু, এজিএম শামসুল হক, যুবদলের মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ওলামা দলের শাহ মো. নেছারুল হক, রফিকুল ইসলাম তালুকদার, তাঁতী দলের বাহাউদ্দিন বাহার, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, কৃষক দলের এস কে সাদী, ছাত্রদলের আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর