সোমবার, ২০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অনীহায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গভীর ও অগভীর সমুদ্র থেকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রমে অনীহা ও উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে সমুদ্র থেকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। এ সময় দেশের সব জায়গায় সমভাবে গ্যাস সরবরাহের পাশাপাশি সারা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে তেলের উপজাত কনডেনসেট প্লান্টগুলোতে পর্যাপ্ত কনডেনসেট সরবরাহ করার সক্ষমতা না থাকলেও নতুন করে কনডেনসেট প্লান্ট নির্মাণের অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।কমিটির সদস্য আবু জাহির, আলী আজগার, এস এম জগলুল হায়দার, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম এবং বেগম নার্গিস রহমান অংশগ্রহণ করেন। সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে কমিটি জ্বালানির উপজাত কনডেনসেটের ক্ষতিকর দিক নিয়ে অলোচনা করা হয় এবং যারা এ ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া কনডেনসেট বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ করে এবং কনডেনসেটের বাজার দর যাতে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের দামের বেশি না হয় তা তদারকির জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, দশম সংসদের সংসদীয় কমিটির ১১০টি সুপারিশের মধ্যে ৮৪টি সুপারিশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে অর্থাৎ বাস্তবায়নের হার ৯২%। অন্যান্য সুপারিশগুলো ও বাস্তায়নাধীন রয়েছে।

বৈঠকে ‘মুজিব বর্ষ’ পালনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সব কর্মসূচিতে কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর