বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
সক্রিয় প্রতারক চক্র

ফেইক অ্যাপসে রাইড শেয়ারিংয়ের টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

যখন রাইড শেয়ারিং কোম্পানির অফার চলে তখনই সক্রিয় হয়ে ওঠত প্রতারক চক্রটি। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেইক অ্যাপস ব্যবহার করে ভুয়া রাইড দেখিয়ে কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ অভিযোগে প্রতারক চক্রের মাস্টারমাইন্ডসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সংস্থাটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নোয়াখালী সেনবাগের আবুল হোসেন (৩৯), কিশোরগঞ্জ তারাইলের খোকন (৩৯), জয়দেবপুরের রিপন (৩১), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের তোফাজ্জল হোসেন তপু (৩১), দিনাজপুর নবাবগঞ্জের আজম সরকার (২৯) এবং পীরগঞ্জের আবদুল্লাহ আল আমান ওরফে ডলার (২৯)। 

সিআইডি সূত্র জানায়, চক্রটি অভিনব কায়দায় বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নিত। কিছু সদস্য বিভিন্ন ড্রাইভারকে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি থেকে শীতবস্ত্র দেওয়ার কথা বলে, কখনো সরকার থেকে ফ্রি সিএনজি দেওয়ার কথা বলে গাড়ির কাগজ, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করত। পরে এসব কাগজপত্র নিয়ে তারা বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়। কাগজপত্র বিভিন্ন ড্রাইভারদের হলেও কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ এবং রাইড শেয়ারিংয়ের কমিশন বা আর্থিক লেনদেনে ভুয়া রেজিস্ট্রেশনের একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করত। বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা এবং লেনদেনে সহযোগিতা করার জন্য এই চক্রের সঙ্গে কিছু এজেন্টও জড়িত ছিল।

রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো প্রায়ই রাইডে ডিসকাউন্ড দেয়। তাছাড়া কোনো চালক প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রিপ দেওয়ার পরেও যদি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে না পারেন সেক্ষেত্রে কোম্পানি থেকে ড্রাইভারদের অফার দেওয়া হয়। আর এই অফারের সময়টিতে সক্রিয় হয় প্রতারক চক্রটি। এরা প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেইক অ্যাপস ব্যবহার করে রাইড দেখিয়ে রাইড শেয়ারিং কোম্পানির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানির মামলার তদন্তে নেমে গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করে সিআইডির সাইবার সেন্টার টিম। গত ২৭ নভেম্বর দুজন এবং সোমবার আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। তারা ওই রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ৯০টি সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর