শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নদীর পাড় কেটে চলছে বালু উত্তোলনের মচ্ছব

হুমকিতে বেড়িবাঁধ ও কবরস্থান

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

নদীর পাড় কেটে চলছে বালু উত্তোলনের মচ্ছব

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বড় নয়াগাঙ নদীর তীর কেটে এভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধ ও স্থানীয় কবরস্থান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বড় নয়াগাঙ নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মচ্ছব চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালী বালুখেকোদের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীরক্ষা বাঁধ। বর্ষা মৌসুমে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয় একটি কবরস্থান। বালুখেকোদের এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে স্থানীয়রা প্রশাসনের নজরে এনেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের বড় নয়াগাঙ খেয়াঘাট এলাকায় নদীর উভয় পাড় কেটে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বালু উত্তোলন করছেন। এর নেতৃত্বে রয়েছেন এলাকার প্রভাবশালী ছিফত উল্লাহ, মো. রফিক আহমদ, মো. আমিন আহমদ, ফয়জুল ইসলামসহ কয়েকজন। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারী-গোয়াইন প্রকল্পের বেড়িবাঁধের পাড় ৩০-৪০ ফুট গর্ত করে বালু উত্তোলন করছেন। এতে বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাবে। বন্যায় লক্ষ্মীপ্রসাদ, লক্ষ্মীপ্রসাদ হাওর, রূপচেং, ফেরিঘাট, লামনীগ্রাম, ভিত্রিখেল, ববরবন্দসহ ১০-১৫টি গ্রামের বসতবাড়ি ও হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া বর্ষার সময় প্রবল স্রোতে নদী তীরবর্তী কবরস্থানও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এ নিয়ে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। এ ব্যাপারে ছিফত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলনের কথা অস্বীকার করেছেন। সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে তিনি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বড় নয়াগাঙ ও সারী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা বাতিল করা হয়েছেÑ এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি ছিফত উল্লাহ।

জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুসিকান্ত হাজং গণমাধ্যমকে জানান, বড়গাঙ নদী থেকে বালু উত্তোলনের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর