সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

একনেকে না ওঠায় শিল্পোদ্যোক্তারা হতাশ

রংপুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

একনেকে না ওঠায় শিল্পোদ্যোক্তারা হতাশ

রংপুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের কাজ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি না ওঠায় দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের মাঝে আবারও হতাশা ভর করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে রংপুর চেম্বারের এক সভায় পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্লানিং) ইঞ্জিনিয়ার শৈলজা নন্দ বসাক বলেছিলেন জানুয়ারিতে রংপুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের কাজ শুরু হবে। কিন্তু উপ-মহাব্যবস্থাপকের কথার সঙ্গে বাস্তবে মিল দেখা যায়নি। অথচ রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত কয়েক শত শিল্প উদ্যোক্তা প্লট ক্রয় করে গ্যাসের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

ইঞ্জিনিয়ার শৈলজা নন্দ বসাক বলেন, রংপুর বিভাগে গ্যাস সরবরাহের জন্য সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্ক নির্মাণে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্র্ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে জুন ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প জমা দেওয়ার পর এটি একনেকের বৈঠকে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। একনেকে পাস হলেই খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রংপুর বিভাগে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের লক্ষ্যে রংপুর অঞ্চলে কতগুলো শিল্পকারখানা আছে, আরও কতগুলো নতুন কারখানা হতে পারে এবং সেই কারখানাগুলোয় গ্যাসের চাহিদা কেমন হবে তা জানতে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে।

২০১১ সালে রংপুর জেলা সফরকালে এ অঞ্চলে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বগুড়া থেকে রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রকল্প স্থাপনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলেশন কোম্পানির (আইএফসি) প্রকৌশলীরা সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করেছেন। এ প্রকল্পের আওতায় ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের সঞ্চালন লাইন দিয়ে ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। দূর হবে দারিদ্র্যতার বৈষম্য। রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে  সৈয়দপুর পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা শিল্প প্লট ক্রয় করে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, গ্যাস এলেই এই অঞ্চলে শিল্প বিপ্লব ঘটবে। রংপুরে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর এলাকায় ১০০০ একর জমির ওপর বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও রংপুরের সব উপজেলার শিল্পকারখানায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর