মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
বিতর্ক নিয়ে মাঠে কাউন্সিলর প্রার্থীরা

কোন্দল নিরসনে মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন তৃণমূলের কোন্দল নিরসনে। মনোনয়ন নিশ্চিত করার পরপরই তারা বিবদমান দূরত্ব কমাতে শুরু করেছেন কাজ। প্রার্থীর অনেকেই গতকাল কাটিয়েছেন নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে দৌড়ঝাঁপ করে। বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, ‘কাউন্সিলর পদে বিএনপি থেকে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাদের কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালেই কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন। এ নির্বাচন চট্টগ্রাম বিএনপির জন্য অ্যাসিড টেস্টের মতো। তাই সব প্রার্থীকে জেতার জন্য   নির্বাচনের মাঠে নামতে বলা হয়েছে।’ রবিবার গভীর রাতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ ও সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলর পদে ১৩ জনের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পরই প্রার্থীদের অন্তঃকোন্দল নিরসন করে নির্বাচনী মাঠ তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়। বর্তমানে নগর বিএনপিতে কয়েকটি গ্রুপ ও উপগ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। যার মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও ডা. শাহাদাত হোসেনের পৃথক বলয় রয়েছে। এসব গ্রুপের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে এর আগে কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনের আগে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে অন্তঃকোন্দল। বিএনপির এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেওয়ার আগে সব প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ওই সাক্ষাৎকারে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়- যাকেই দল মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’বিএনপি মনোনীত ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেছি। নির্বাচনের মাঠ তৈরি করতে নানান নির্দেশনা দিয়েছি। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মাঠ তৈরি করব।’

কাউন্সিলর পদে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি তাদের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। গতকাল রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৪১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৩ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের জন্য বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরা হচ্ছেন, ১- সিরাজুল ইসলাম রাসেদ, ২- ইয়াকুব চৌধুরী, ৩- মো. ইলিয়াছ, ৪- মাহবুবুল আলম, ৫- মোহাম্মদ আজম, ৬- হাসান লিটন, ৭- ইসকান্দার মির্জা, ৮- হাসান চৌধুরী ওসমান, ৯- আবদুস সাত্তার সেলিম, ১০- রফিক উদ্দিন চৌধুরী,  ১১- সোহরাব হোসেন চৌধুরী, ১২- শামসুল আলম, ১৩- জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, ১৪- আবদুল হালিম, ১৫- চৌধুরী সাইফুদ্দীন রাশেদ, ১৬- সালাউদ্দিন কাউসার লাবু, ১৭- আরিফুল ইসলাম ডিউক, ১৮- মো. মহিউদ্দিন, ১৯- ইয়াসিন চৌধুরী আছু, ২০- হাফিজুল ইসলাম মিলন, ২১- আবু মো. মহসিন চৌং, ২২- এম এ মালেক, ২৩ - হাজী মো. মহসিন, ২৪- এস এম ফরিদুল আলম, ২৫ - শহীদ মো. চৌধুরী, ২৬ - মো. আবুল হাশেম, ২৭-  মো. সেকান্দর, ২৮ - এস এম জামাল উদ্দিন জসিম, ২৯ - মো. সালাহ উদ্দিন, ৩০ - হাবিবুর রহমান, ৩১ - দিদারুর রহমান লাভু, ৩২ - সৈয়দ আবুল বশর,  ৩৩ - আকতার খান, ৩৪- ইসমাইল বালি, ৩৫ - অ্যাড. তারিক আহমদ, ৩৬ - মো. হারুন (ডক),  ৩৭ - মো. ওসমান, ৩৮ - হানিফ সওদাগর,  ৩৯ -  সরফরাজ কাদের রাসেল,  ৪০ - মো. হারুন, ৪১ - ডা. নুরুল আফছার। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ক্রমানুসারে ওয়ার্ড নম্বর- ১,২,৩ রোকসানা বেগম, ৪, ৫, ৬ শাহেনেওয়াজ চৌং, ৭, ৮ জিন্নাতুন নেছা জিনিয়া, ৯, ১০, ১৩ সকিনা বেগম,  ১২, ২৩, ২৪ খালেদা বোরহান,  ১৪, ১৫, ২১ মনোয়ারা বেগম মনি, ১৭, ১৮, ১৯ মাহমুদা সুলতানা ঝর্ণা, ১৬, ২০, ৩২ পারভীন আকতার চৌং, ২২, ৩০, ৩১ আরজুন নাহার মান্না, ১১, ২৫, ২৬ জেসমিনা খানম, ২৮, ২৯, ৩৬ কামরুন নাহার লিজা, ২৭, ৩৭, ৩৮ সাহিদা খানম, ৩৩, ৩৪, ৩৫ মনোয়ারা বেগম, ৩৯, ৪০, ৪১ জাহিদা হোসেন।

তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর গণ-পদত্যাগ : এদিকে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে দল থেকে গণ-পদত্যাগ করেছে বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী। গতকাল ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল মহানগর শাখা ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর