বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা আতঙ্ক

চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি তবুও ব্যস্ত র‌্যাব-পুলিশ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি তবুও ব্যস্ত র‌্যাব-পুলিশ

করোনা সংক্রমণের মধ্যে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিকট অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক রয়েছে। তারপরও স্বস্তিতে নেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। বরং বিরামহীনভাবে চলছে তাদের কর্মযজ্ঞ। দেশের এমন সংকটময় মুহুর্তে গতানুগতিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পরিবর্তে তারা সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক নানা কর্মকান্ডে ব্যস্ত সময় পার করছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশ (সিএমপি) কশিনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘এ সংকটময় পরিস্থিতিতে সিএমপি কিছু মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে সিএমপির প্রতিটি ইউনিটের সদস্যরা বিরামহীন পরিশ্রম করছেন।’ 

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘এখন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার ওপর ফোকাস করছি। একই সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ, বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী হ্যান্ড ওয়াশ পয়েন্ট তৈরি এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়ে কাজ করছে র‌্যাব।’ চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও জীবাণুনাশক বিতরণও করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাত-দিন পরিশ্রম করছে জেলা পুলিশের সদস্যরা।’

জানা যায়, দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় সার্বিক অপরাধ কমেছে জ্যামিতিক হারে। এ সময়ে মামলা রেকর্ডের হার কমেছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। কোনো কোনো থানায় গত ১০ দিনে কোনো মামলা রেকর্ডও হয়নি। মামলার হার কমলেও শান্তির ঢেঁকুর তুলতে পারছে না আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বরং তারা করোনাভাইরাস ঝুঁকি নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জীবাণুনাশক ছিটানো, ঘরে অবস্থান করা বাসিন্দাদের খাবার পৌঁছে দেওয়া, হতদরিদ্রদের কাছে বিনামূল্যে খাবার ও অসুস্থদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতসহ নানা মানবিক কাজ করছে পুলিশ ও র‌্যাব। সিএমপির খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে পুলিশকে। বর্তমানে পুলিশ সদস্যদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।’ বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বিরামহীনভাবে কাজ করছে পুলিশ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের একেকজন সদস্য অতিরিক্ত পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।’ 

সর্বশেষ খবর