খুলনার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার সোনাডাঙ্গা কাঁচাবাজারে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি টাকার সবজি বেচাকেনা হতো। করোনা সংক্রমণের কারণে বর্তমানে বাজারে ক্রেতা না থাকায় প্রতিদিনই প্রায় অর্ধকোটি টাকার সবজি অবিক্রীত থাকছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া, রূপসা, চুকনগরসহ যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টন সবজি সোনাডাঙ্গা কাঁচাবাজারে বিক্রির জন্য আনা হয়। সেখান থেকে এসব সবজি বাগেরহাট, পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা কিনে নেন। কিন্তু করোনার কারণে যানচলাচল বন্ধ থাকায় ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে বৃহৎ এই সবজি বাজার। সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচাবাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম নাসির বলেন, বাজারে প্রতিদিন কয়েকশ মণ শসা, করলা, মুলা ও কুমড়া নষ্ট হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা বাজারে আসতে পারছেন না। এতে বাজারের বেচাকেনা প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে। তিনি বলেন, সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচাবাজার মূলত সন্ধ্যার পর থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত চলত। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশে রাত ১০টার পর বাজার বন্ধ থাকায় গড়ে অর্ধকোটি টাকার মালামাল অবিক্রিত থাকছে।
অনেকে কম দামে সবজি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এদিকে খুলনার চুকনগর এলাকার সবজি চাষি হোসেন আলী বলেন, এরই মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সবজি ব্যাপকভাবে আসতে শুরু করেছে। খেতেও বেশিদিন সবজি রাখা যাচ্ছে না। করোনার কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সবজি পাঠানো যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সবজি বাজার চালু রাখা ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।