বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাকালেও বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণকাজে ব্যাপক অগ্রগতি

শেষ হয়েছে এক প্রান্তের কাজ

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

করোনাকালেও বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণকাজে ব্যাপক অগ্রগতি

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ২ হাজার ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু টানেলের এক প্রান্তের কাজ শেষ হয়েছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ২ হাজার ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু টানেলের এক প্রান্তের কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি দেশের এই প্রথম টানেলের বাম লাইনের নির্মাণকাজ রবিবার শেষ করেছে। এতে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ শেষ হলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চীনা গবেষণা ও মেশিনে করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশে নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি প্রথম টানেল। টানেলের নির্মাণকাজ  শেষ হলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হবে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগ হবে যোগাযোগের নতুন মাত্রা। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প ঋণ হিসেবে চায়না এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম তীরকে যুক্ত করেছে। সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৯.৩ কিলোমিটার হলেও মূল কাঠামো ২ হাজার ৪৫০ মিটার। টানেলের ব্যাস ১১.৮ মিটার। এ টানেলে দুটি আলাদা পথে চারটি লেন দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ মেগা প্রকল্পের যৌথ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ বলেন, করোনাকালের এই পরিস্থিতিতে দেশের এই মেগা প্রকল্পের এক প্রান্তের কাজ শেষ হওয়া মানে  দেশবাসীর জন্য সুখবর। সন্তোষজনকভাবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলার কারণে আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতেও কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি প্রকল্পের বাকি কাজও সঠিক সময়ে শেষ হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হলে শুধু চট্টগ্রাম নয়, সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি তথা জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাণিজ্যিক রাজধানী তথা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হবে হংকংয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। এতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিল্পায়ন, পর্যটন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, খনিজ, কৃষিজ, সামুদ্রিক ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ বিভিন্ন খাত, উপ-খাতে আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। এতে জাতীয় রাজস্ব যেমন বাড়বে, বাড়বে নতুন নতুন কর্মসংস্থানও।

সর্বশেষ খবর