শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
লঘুচাপ সৃষ্টি

চলতি মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিদায়ের মধ্য দিয়ে চলতি মাসে বর্ষা মৌসুমের সমাপ্তি ঘটবে; আর এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম। অক্টোবর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এ মাসে সাগরে দু-একটি লঘুচাপের আভাস রয়েছে, তার কোনোটি ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে। ইতিমধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় দেশের সর্বত্র ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। এ মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে, ‘সাগরে এখন যে লঘুচাপ রয়েছে, তা নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। তবে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।’ খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বর্ষণ হতে পারে। এবার সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের         চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাগরে লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল দুই দফা। সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হলেও পরে তা দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল সিলেটে। লঘুচাপের প্রভাব এবং সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হয়েছে। রংপুরে এক দিনে বছরের সর্বোচ্চ ৪৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে এ সময়। আবহাওয়াবিদ শাহিনুল বলেন, ‘অক্টোবরে দু-একটি লঘুচাপের আভাস রয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় যে হবেই এমনটি বলা যায় না।’ সর্বশেষ গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তা ব ছিল উপকূলে। মহামারীর মধ্যেও এ ঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হয় সরকারকে।

এ বছর বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কবলেও পড়তে হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর