চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নির্মিতব্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইকিউবেটর। ইতিমধ্যে ভৌত অবকাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ। আগামী জুনে শেষ হবে সামগ্রিক কার্যক্রম। এটি বাস্তবায়ন হলে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। নতুন মাইলফলক হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়। তৈরি হবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সফল উদ্যোক্তা। উৎসাহিত করবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম। সমৃদ্ধ করবে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা-গবেষণায় ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিজনেস ইনকিউবেটর একটি কর্মক্ষেত্র; যা একই ছাদের নিচে সব প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করে স্টার্টআপ/নতুন উদ্যোগকে সহায়তা করে। ডেস্ক বা অফিস ছাড়াও ইনকিউবেটরে প্রায়শই বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা, অর্থ সহায়তা, প্রশাসনিক সহায়তা, অফিস সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের গমনাগমনসহ আবাসিক সংস্থান করে থাকে। ২০১৭ সালের ৬ জুন একনেকের সভায় চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় চুয়েট ক্যাম্পাসে ১০ তলা ভবনের মূল ইনকিউবেশন ভবন। এতে থাকবে গবেষণা কেন্দ্র, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি কোলাবরেশন জোন, আইডিয়া ডেভেলপমেন্ট জোন, ফুডকোর্ট, প্রদর্শনী কক্ষ ও আইটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যাধুনিক অফিস কক্ষ। ৬ তলাবিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবনে থাকবে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, প্রশিক্ষণ ও কনফারেন্স কক্ষ। স্টার্টআপ কোম্পানিকে আবাসিক সুবিধা প্রদানে থাকবে ২০০ কক্ষবিশিষ্ট দুটি আধুনিক ডরমেটরি (পুরুষ ও মহিলা), প্রস্তুত করা হবে দুটি বিশেষায়িত ল্যাব। প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ। আগামী জুনে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ার কথা।
শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক বলেন, অবকাঠামোগত ৭০ শতাংশ কাজ শেষ। দুটি ডরমিটরি ভবন ও ছয়তলাবিশিষ্ট প্রশিক্ষণ ভবনের কাজ শেষ। ১০ তলাবিশিষ্ট ইনকিউবেশন ভবনের দশমতলার ছাদ ঢালাই হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। ‘ইনকিউবেটর সফলভাবে বাস্তবায়ন ও পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা-গবেষণায় ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।