বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
আলোচনা সভায় বক্তারা

বর্জ্যে শহরের পরিবেশ দূষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

শহরের মধ্যে ওষুধশিল্প, জাহাজ নির্মাণশিল্প ও স্বর্ণশিল্পের বর্জ্য প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত করছে। এসব বর্জ্য কোনো পরিশোধন ছাড়াই নদীর পানিতে মিশছে। ৩২ বছর ধরে শহরের মধ্য থেকে ওষুধশিল্প স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলন চলছে।

প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে শহরের মধ্য থেকে ওষুধশিল্প, স্বর্ণশিল্প ও জাহাজ নির্মাণশিল্প স্থানান্তর হচ্ছে না। ‘বরিশালের শিল্পদূষণ, পরিবেশ বিপর্যয় ও জনদুর্ভোগ নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গতকাল বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আমন্ত্রিত কোনো শিল্পমালিক এই সভায় অংশগ্রহণ করেননি।

বক্তারা বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়া কোথাও কোনো শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরিবেশ অধিদফতর শহরের মধ্যে শিল্প স্থাপনের ছাড়পত্র দিয়ে জনগণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এছাড়া যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন ও কাঠ পোড়ানো বন্ধ এবং মেডিকেল বর্জ্য ও শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আলোচকরা গুরুত্বারোপ করেন।

জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম। বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল মোতালেব হাওলাদার, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা, বেলার সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সংগঠক রফিকুল আলম, এনজিও কর্মী কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু, আনোয়ার জাহিদ ও শুভংকর চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন।

সভায় পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পদূষণ ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধ এবং জনদুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। তবে আমন্ত্রিত শিল্পমালিকরা সভায় অংশগ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের নেতারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর