নয় বছর ধরে দুবাইয়ে আছেন মেহেদী হাসান। সেখানে ব্যবসা করেন তিনি। ২৩ মার্চ দেশে আসেন তিনি। এবার নগদ টাকা না এনে সঙ্গে এনেছেন ১১৬ গ্রাম ওজনের দুটি সোনার বার। ২৩২ গ্রাম সোনার বার কিনতে তার খরচ হয় প্রায় ১১ লাখ ১৬ হাজার টাকা। শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে এই সোনার বারের জন্য শুল্ক দিলেন আরও ৪০ হাজার টাকা। আর এই সোনার দুটি বার কাস্টমস জোন থেকেই চুরি হয়ে যায়। নিঃস্ব হওয়ার হতাশা নিয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন মেহেদী হাসান। তাকে নিরাশ করেনি আর্মড পুলিশ। ১৩ দিন পর ফেনী থেকে এই সোনার দুটি বার উদ্ধার করে মেহেদী হাসানের কাছে তুলে দেয় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা সময় নিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু করে কাস্টমসের ট্রেতে রাখা বার নেওয়া এক যাত্রীকে শনাক্ত করি। বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা আমরা নিই। দেখি সেই যাত্রী স্ক্যানার মেশিনে দুটি সোনার বার দেখতে পান, আর তা নিজের পকেটে নিয়ে নেন। সেই যাত্রী কোন গাড়িতে গেলেন, তার পাসপোর্টসহ বিভিন্ন তথ্য আমরা সংগ্রহ করি। পরে জানতে পারি সেই যাত্রী বার দুটি নিয়ে ফেনীতে নিজের গ্রামের বাড়িতে গেছেন। আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারপর তাকে বার দুটি ফেরত দিতে কৌশলগত পদ্ধতি অনুসরণ করি। সে বাধ্য হয়ে বিমানবন্দরে এসে বার দুটি ফেরত দিয়ে যায়।