সোমবার, ১০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন দেড় লাখ

চট্টগ্রামে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের সংকট

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের সংকট

চট্টগ্রামে টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করা হয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৮১ জন। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় ডোজের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে প্রথম ডোজ গ্রহণকারী অপেক্ষমাণ ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৯ জন। বর্তমানে টিকা সংকট দেখা দেওয়ায় শঙ্কায় পড়েছেন প্রায় দেড় লাখ প্রথম ডোজ গ্রহণকারী। অন্যদিকে দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ায় সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক বেড়েছে। জানা যায়, গতকাল সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জেনারেল হাসপাতালের টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। টিকা না পেয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেছেন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে আসা মানুষ। এ সময় হাসপাতালের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন গেটের বাইরেই অবস্থান করেন সবাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। এর আগে শনিবারও টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন নিতে আসা আগ্রহীরা। তাছাড়া নগরের অন্যান্য টিকা প্রদান কেন্দ্রেও গ্রহীতাদের ভিড় হয়। বর্তমানে নগরে ১৫টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। অভিন্ন সমস্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রেও। সেখানেও ফুরিয়ে এসেছে টিকার মজুদ। টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে অল্প সংখ্যক টিকা এনে সীমিত পরিসরে চালানো হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম। ভুক্তভোগীরা বলেন, শনিবার থেকে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসএমএস আসার পরও হাসপাতাল থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। আবার টিকা নেই সেটাও বলা হচ্ছে না। এমন সময় টিকার সংকট দেখা দিয়েছে, যখন ভারতের নতুন ভেরিয়েন্ট দেশে শনাক্ত হয়েছে। তাই দ্বিতীয় ডোজ দিতে না পারায় শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে টিকার মজুদ ফুরিয়ে আসছে।

 সীতির সংখ্যক টিকা দিয়ে চলছে টিকা কার্যক্রম।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে কিছু টিকা এনে এ কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রাম নগর এলাকায় সীমিত পরিসরে টিকা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। গতকালও জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ৯০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের টিকার মজুদ ফুরিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগ করেছি। আশা করি সংকটের সমাধান হবে।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, এক সঙ্গে অনেকেই টিকা গ্রহণ করতে এসেছে। এমনকি এসএমএস আসেনি এমন অনেকেই আসছেন। কিন্তু সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

জানা যায়, ভারত থেকে চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো করোনার টিকা না আসায় দেশে টিকার সংকট তৈরি হয়। ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী এক মাসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। ফলে প্র্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা যথাসময়ে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর