বুধবার, ১২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেটে ফুরিয়ে গেছে করোনা টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে ফুরিয়ে গেছে করোনা টিকা

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে করা হয় চুক্তি। সম্প্রতি ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে বাংলাদেশের কেনা বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে সিলেট বিভাগের ৮৪ হাজার মানুষ। বর্তমানে মজুদ টিকা আগামী দুই দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আপাতত দেশে পরবর্তী টিকার চালান প্রাপ্তির দিকে চেয়ে থাকতে হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতাদের। দেশে প্রথম থেকেই সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গণটিকা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত সিলেট মহানগরে এ টিকা গ্রহণ করেছেন ৫৯ হাজার ৬০০ জন। সর্বশেষ ১০ মে পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪৪ হাজার ৭০০ জন। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিলেট মহানগরের দুটি কেন্দ্রের জন্য যে পরিমাণ টিকা বর্তমানে মজুদ রয়েছে আগামী এ-দুই দিনের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখতে হবে। দ্বিতীয় ডোজের জন্য আপাতত সিলেট মহানগরের প্রায় ১৭ হাজার মানুষকে অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানালেন তিনি।

অন্যদিকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৪২ জন। গতকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬৪ জন। বর্তমানে সিলেট বিভাগের আওতায় টিকার মজুদ রয়েছে প্রায় ২৬ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. নুরে আলম শামীম বলেন, ‘আমাদের হাতে যে পরিমাণ টিকার মজুদ রয়েছে সেগুলো কাজে লাগানোর পর প্রায় ৮৪ হাজার ব্যক্তি আপাতত দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন না।’

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সেরাম থেকে চুক্তির বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা কবে পাবে তা এখন অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-ভি’ এবং চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এসব ব্র্যান্ডের টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া যাবে কি না এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা আসেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর