বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ভোট না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বাররাই বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বাররাই বহাল

করোনা মহামারীর কারণে ভোট না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বাররাই স্বপদে বহাল থাকছেন। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পুরনোদের দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর বিপন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউপির মধ্যে ইতিমধ্যে ২০৪টির ভোট হয়েছে। কিছু ইউপির ইতিমধ্যে মেয়াদ শেষে ৯০ দিনও পার হয়েছে এবং বাকিগুলো ধাপে ধাপে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। এ বিষয়ে উপসচিব বলেছেন, করোনা সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা যাচ্ছে না এ-সংক্রান্ত চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সব বিষয় বিবেচনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ও সামনে মেয়াদ শেষ হবে এমন সব ইউপির বর্তমানে যারা রয়েছেন তাদেরই দায়িত্ব পালনের বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসংক্রান্ত’ পরিপত্রে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় জনসমাগম এড়াতে নির্বাচন অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। অতএব মেয়াদোত্তীর্ণ ও আশু মেয়াদোত্তীর্ণ হবে এমন ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ১০১ ধারা মোতাবেক প্রশাসনিক অসুবিধা দূরীকরণার্থে বিদ্যমান ইউপিগুলোকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হলো।

 অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।

স্থানীয় সরকার আইনের ১০১ ধারায় বলা হয়েছে, অসুবিধা দূরীকরণ আইনের বিধানাবলি কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সরকার এ অসুবিধা দূরীকরণার্থ আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা নিতে নিতে পারবে।

গতকাল নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগে গত সপ্তাহেই আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে (২৯ (৩) ধারা অনুসারে) ইউপি নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত (২৯ (৫) ধারা অনুযায়ী) পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ ইউপি ভোট করা সম্ভব হবে তা-ও এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানীয় সরকার আইনের ২৯ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, দৈবদুর্বিপাক বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে। এমন সব ইউপির ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বর্তমানে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারাই বহাল থাকবেন বলে সোমবার জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ইউপিতে কোনো প্রশাসক নিয়োগের বিধান নেই। সে ক্ষেত্রে বর্তমান জনপ্রতিনিধিদেরই বহাল রাখা ছাড়া উপায় নেই। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবের বক্তব্যের পর দিনই পরিপত্র জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর