শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা পরীক্ষায় বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপন দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা পরীক্ষায় বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপন দাবি

প্রবাসীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় রিপোর্ট দ্রুত পাওয়ার সুবিধার্থে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, প্রবাসী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ৬ ঘণ্টার মধ্যে না হলে বিমান কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য বিদেশি বিমান কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করছেন না। তাই এতে বিদেশযাত্রীরা যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিমানবন্দরে যদি আরটিপিসিআর মেশিন ল্যাব স্থাপিত হয় তাহলে সেখানকার রিপোর্টটি ৬ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে এবং তা নিয়ে বিদেশ যেতে কাউকে অসুবিধা পড়তে হবে না।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৪তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের এই সংসদ সদস্য। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের অনেক প্রবাসী যারা চাকরির জন্য করোনা পরীক্ষা নিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন ৬ ঘণ্টার বাধ্যবাধকতার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঢাকা ও সিলেটেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাই বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দরে যদি আরটিপিসিআর মেশিন ল্যাব স্থাপিত হয় তাহলে সেখানকার রিপোর্টটি ৬ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে এবং তা নিয়ে বিদেশ যেতে কাউকে অসুবিধায় পড়তে হবে না।

মশক নিধনে ৩ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে : স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ড ১০টি করে ক্ষুদ্র ইউনিটে বিভক্ত করে নিবিড়ভাবে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মশক নিধনে দৈনিকভিত্তিতে ৩ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গুণগত-মানসম্পন্ন কীটনাশক নির্বাচন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয়সহ সব পর্যায়ে সভা করা হয়েছে এবং জাতীয় নির্দেশিকা ছাপানো হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৪তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন সকাল বেলা লার্ভিসাইড এবং বিকাল বেলা এডাস্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশক নিধনে সেল গঠন করা হয়েছে।

সরকারি আবাসিক ও অনাবাসিক ভবন ও অন্যান্য দফতরে এবং নগরীর উন্মুক্ত স্থানে স্ব স্ব উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বেতার, টেলিভিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। প্রজননে সুযোগ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর