মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

গুদামে ধান দেননি চাষিরা চাল দিয়েছেন মিলাররা

গম সংগ্রহে শতভাগ সফল খাদ্য বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অভ্যন্তরীণ বোরো (সিদ্ধ, আতপ চাল ও ধান) সংগ্রহ অভিযানে এবার খাদ্যগুদামে তেমন ধান দেননি রাজশাহীর চাষিরা। তবে মিলাররা চাল সরবরাহ করেছেন। চাষিদের ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যেতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। তবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কাছাকাছি পৌঁছেছে। যদিও ধান এবং সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের কোনোটিরই লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়নি। তবে গম সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার বেশি। রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ২৮ এপ্রিল বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়। আর চাল সংগ্রহ শুরু হয় ৭ মে। গমও সংগ্রহ শুরু হয়েছিল এপ্রিলের মাঝামাঝি। সবকিছুরই সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে ৩১ আগস্ট। ধান ২৭, সিদ্ধ চাল ৩৯, আতপ চাল ৪৮ আর গম ২৮ টাকা কেজি দরে কেনা হয়েছে। রাজশাহীতে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৩৯৯ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭০৯ মেট্রিক টন। রাজশাহী মহানগরী, পবা ও চারঘাটের একজন চাষিও ধান দেননি। চাষিরা দাম ভালো পাওয়ায় বাজারেই বিক্রি করেছেন। সে ধান থেকে চাল উৎপাদন করে গুদামে সরবরাহ করেছেন মিলাররা। রাজশাহীতে এবার সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৯৬৫ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৩ মেট্রিক টন। চুক্তিবদ্ধ ১৮১ জন মিলার চাল সরবরাহ করেছেন। চুক্তি করেও কয়েকজন চাল সরবরাহ করেননি। আর আতপ চাল সরবরাহে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন তিনজন মিলার। তাদের মধ্যে দুজন সরবরাহ করেছেন ১৫৪ মেট্রিক টন। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৮ মেট্রিক টন। রাজশাহী মহানগরী ও নয় উপজেলার মধ্যে শুধু গোদাগাড়ী ও চারঘাট থেকে আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে। বাঘা উপজেলা থেকে কোনো সিদ্ধ চালও সংগ্রহ হয়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, বোরো মৌসুমে ৬৬ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছিল ৬৬ হাজার ৭৩২ হেক্টর জমিতে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি চালের উৎপাদন ৪ দশমিক ৩৫ মেট্রিক টন। এবার পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হলেও সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ খাদ্য বিভাগ। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনির্বাণ ভদ্র বলেন, ‘ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমাদের মান নিশ্চিত করতে হয়। অনেক সময় প্যারামিটারে না হওয়ার কারণে কৃষক ধান আনলেও আমরা নিতে পারিনি। তা ছাড়া এবার বাজারেও ধানের দাম বেশি ছিল। চাষিরা বাজারেই বিক্রি করেছেন। ফলে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি। গমও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সংগ্রহ হয়েছে। এটা একটা ভালো দিক।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর