অভ্যন্তরীণ বোরো (সিদ্ধ, আতপ চাল ও ধান) সংগ্রহ অভিযানে এবার খাদ্যগুদামে তেমন ধান দেননি রাজশাহীর চাষিরা। তবে মিলাররা চাল সরবরাহ করেছেন। চাষিদের ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যেতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। তবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কাছাকাছি পৌঁছেছে। যদিও ধান এবং সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের কোনোটিরই লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়নি। তবে গম সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার বেশি। রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ২৮ এপ্রিল বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়। আর চাল সংগ্রহ শুরু হয় ৭ মে। গমও সংগ্রহ শুরু হয়েছিল এপ্রিলের মাঝামাঝি। সবকিছুরই সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে ৩১ আগস্ট। ধান ২৭, সিদ্ধ চাল ৩৯, আতপ চাল ৪৮ আর গম ২৮ টাকা কেজি দরে কেনা হয়েছে। রাজশাহীতে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৩৯৯ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭০৯ মেট্রিক টন। রাজশাহী মহানগরী, পবা ও চারঘাটের একজন চাষিও ধান দেননি। চাষিরা দাম ভালো পাওয়ায় বাজারেই বিক্রি করেছেন। সে ধান থেকে চাল উৎপাদন করে গুদামে সরবরাহ করেছেন মিলাররা। রাজশাহীতে এবার সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৯৬৫ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৩ মেট্রিক টন। চুক্তিবদ্ধ ১৮১ জন মিলার চাল সরবরাহ করেছেন। চুক্তি করেও কয়েকজন চাল সরবরাহ করেননি। আর আতপ চাল সরবরাহে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন তিনজন মিলার। তাদের মধ্যে দুজন সরবরাহ করেছেন ১৫৪ মেট্রিক টন। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৮ মেট্রিক টন। রাজশাহী মহানগরী ও নয় উপজেলার মধ্যে শুধু গোদাগাড়ী ও চারঘাট থেকে আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে। বাঘা উপজেলা থেকে কোনো সিদ্ধ চালও সংগ্রহ হয়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, বোরো মৌসুমে ৬৬ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছিল ৬৬ হাজার ৭৩২ হেক্টর জমিতে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি চালের উৎপাদন ৪ দশমিক ৩৫ মেট্রিক টন। এবার পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হলেও সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ খাদ্য বিভাগ। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনির্বাণ ভদ্র বলেন, ‘ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমাদের মান নিশ্চিত করতে হয়। অনেক সময় প্যারামিটারে না হওয়ার কারণে কৃষক ধান আনলেও আমরা নিতে পারিনি। তা ছাড়া এবার বাজারেও ধানের দাম বেশি ছিল। চাষিরা বাজারেই বিক্রি করেছেন। ফলে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি। গমও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সংগ্রহ হয়েছে। এটা একটা ভালো দিক।’
শিরোনাম
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
- লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
- আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
- ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন
- দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
- তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
- রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
- নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
- ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
- সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
- তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
- ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
গুদামে ধান দেননি চাষিরা চাল দিয়েছেন মিলাররা
গম সংগ্রহে শতভাগ সফল খাদ্য বিভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়