শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাড্ডায় ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগর এলাকার একটি অফিসকক্ষ থেকে লামিনাল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। মৃতের নাম নুরুন্নবী ভূঁইয়া (৫৫)। গতকাল সকালে আফতাবনগর ২৯/৩১ নম্বর নুরুল টাওয়ারের ৯ম তলার অফিসকক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত নুরুন্নবী ভূঁইয়া অবিবাহিত ছিলেন। ভাইদের সঙ্গে ওই এলাকায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। পরিবারের ধারণা, আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে নুরুন্নবী ভূঁইয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আগে মৃত্যুর কারণ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ পুলিশ। 

বাড্ডা আফতাবনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) নাদিম মাহমুদ জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মৃত নুরুন্নবী ভূঁইয়া একটি কোম্পানির মালিক ছিলেন। ব্যবসায় মন্দা যাওয়ায় তিনি দেউলিয়া হয়ে যান। অভিজ্ঞতা থাকায় লামিনাল গ্রুপ কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুন্নবীকে চাকরি দেয়। বছর খানেক ধরে সেখানে চাকরি করে আসছিলেন নুরুন্নবী। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। অফিসের পাশে একটি বাসায় পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে নুরুন্নবীর অনেক দেনা হয়ে যায়। এটি নিয়ে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন তিনি। এই কারণে নুরুন্নবী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

মৃতের ভাই নুরুল আফসার ভূঁইয়া বলেন, লামিনাল গ্রুপ নামে তাদের ফরেন ইনভেস্টর অফিস রয়েছে। অফিসটির চেয়ারম্যান তাদের বড় ভাই। আর মৃত মেজো ভাই নুরুন্নবী ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান। অফিসে যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হন তার মেজো ভাই। পরে তারা খবর পেয়ে অফিসে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নুরুন্নবীকে ঝুলতে দেখেন। তিনি কী কারণে ফাঁস নিয়েছেন এ বিষয়ে তারা কিছইু বলতে পারেন না।

সর্বশেষ খবর