শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মাছ মাংস সবজির দামে নাভিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে মাছ-মাংসের দাম আরও বেড়েছে। বেড়েছে বেশির ভাগ সবজির দর। পিঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর খবরে আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের বাজারেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। আর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। সেপ্টেম্বরে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম এখন ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি ছিল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। এদিকে গত সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পিঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে ১ কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শীতের আগাম সবজি শিম গত সপ্তাহের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে খুব একটা হেরফের হয়নি। এ ছাড়া চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটল, করলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস : চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে সীমিত আয়, খেটে খাওয়া মানুষ, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং নিম্নবিত্তের মানুষদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রতিদিনই বাড়ছে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম। খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই পাইকারি বাজারে এক মাস ধরেই পাইকারি বাজারে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের পাইকারি মূল্য ছিল ১৪৭ টাকা এবং খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। তাছাড়া পাইকারিতে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হয় ১৩৫ টাকা। অন্যদিকে, পিঁয়াজের বৃহত্তম বিক্রয় কেন্দ্র খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজারে বৃহস্পতিবার পাইকারি প্রতি কেজি ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হয় ৫০-৫৩ টাকা এবং মিয়ানমারের ভালো মানের পিঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৮, ৪০ ও ৪২ টাকা। প্রতি কেজি চায়না রসুন বিক্রি হয় ৯৭-৯৮ টাকা এবং দেশি রসুন ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। প্রতি কেজি চায়না আদা বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, বার্মার আদা ৪০ টাকা, ভারতীয় ও দেশি আদা ৫০ টাকা। তাছাড়া গত দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল ৯৬-৯৮ টাকায়, গতকাল বিক্রি হয় ১১০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছিল ৬৬ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। চট্টগ্রাম নগরের বক্সিরহাট, সিরাজুদ্দৌলা রোড, রেয়াজুদ্দিন বাজারে গতকাল বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০-১৭০ টাকা, প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০-৮০  টাকা, মুলা, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁডস, পটল ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বিভিন্ন শাকের আঁটি ১০-২০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকায়।

সর্বশেষ খবর