২০১৮ সালের সিটি করপোরেশন ও সংসদ নির্বাচনে খুলনায় সীমিত পরিসরে মাঠে ছিল বিএনপি। কিন্তু বড় দুটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর মাঠের রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়ে দলটি। পাশাপাশি হামলা-মামলা ও দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় হতাশায় ডুবে রয়েছেন তৃণমূলে নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন সময় সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েও দল চাঙা করা যায়নি। ফলে এবার জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে তৃণমূলে নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, সরকার পতনের কর্মসূচি দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণে জনসম্পৃক্ত ইস্যু কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। এসব কর্মসূচি নিয়ে সহজেই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়া যায়, আবার কর্মসূচিতে বাধা দিলে তাদের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। বিএনপি খুলনা মহানগরী সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা মাঠের রাজনীতিতে ফিরতে চাই। এটা নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণ চায় বিএনপি রাজপথে শক্ত অবস্থান নিয়ে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য কর্মসূচি পালন করুক। আর মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা চান বিএনপি কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আগের শক্ত অবস্থানে ফিরে আসুক।’ এদিকে গতকাল খুলনায় কেরোসিন, ডিজেল ও এলপি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও বর্ধিত পরিবহন ভাড়া প্রত্যাহার দাবিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। কে ডি ঘোষ রোড, হেলাতলা রোড, স্যার ইকবাল রোডে পথচারী, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন শীর্ষ নেতারা। জানা যায়, গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সাংগঠনিক পুনর্গঠন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচিতে নেই বিএনপি। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণের কারণে পুনর্গঠন কাজও প্রায় স্থগিত। ফলে স্থানীয় জনসম্পৃক্ত কর্মসূচিতে কর্মী ও লোকসমাগম বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘পুলিশ যে কোনো কর্মসূচিতেই বাধা দেয়। এ কারণে আপাতত সরকার পতন আন্দোলন থেকে সরে এসে জনগণের দাবি আদায়ের কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে রাজপথের আন্দোলনে নামতে পারছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।’ জানা যায়, এসব কর্মসূচির পাশাপাশি দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার, দমননীতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে কথা বলবে বিএনপি। দলের মহানগরী সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব যেন সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর না পড়ে সেজন্য তাদের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের ওপর। সাধারণ মানুষ এখন দিশাহারা হয়ে পড়ছে।’
 
                         
                                     
                                                             
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        