বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জেলায় জেলায় বিএনপির সমাবেশের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এবার জেলা পর্যায়ে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ২০ ডিসেম্বর থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া মহান বিজয় ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষেও পাঁচ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে দলটি। সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে পাঠানো না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন দলটির নেতারা। সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 সভায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়।

এ ছাড়া ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে পাঁচ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতি বছরই বিএনপি যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করে। এ বিজয় দিবসের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আরও গভীর আরও আবেগের।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বিজয় দিবসে ১৬ ডিসেম্বর ভোরে দলীয় সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং সেখান থেকে শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে র‌্যালি ও ১৯ ডিসেম্বর বেলা ২টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ১৪ ডিসেম্বর ভোরে কেন্দ্রীয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোয় কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং সকাল ৯টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ। ১৫ ডিসেম্বর বেলা ২টায় কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা।

স্থায়ী কমিটির সভায় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের জন্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটিকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান জিয়া পরিবারকে নিয়ে যে চরম অশালীন, অরুচিকর বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রকাশ্যে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ মুরাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর