বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ৩৯ শতাংশ সম্পন্ন

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন পর্যন্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ৩৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। কমিটি নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য সুপারিশ করে। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দশম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি আ.ফ.ম রুহুল হক। বিশেষ আমন্ত্রণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, শফিকুল আজম খান, মোজাফ্ফল হোসেন,  শিরীন আহমেদ, হাবিবা রহমান খান বৈঠকে অংশ নেন।  বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন পরবর্তী পর্যালোচনা, বিশেষভাবে গ্রিড সংযোজন এবং ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে করোনাকালীন জনবল ঘাটতি নিয়েও নদী ও খাল সংস্কার প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৭২ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলস্বরূপ গত বছর অনেক বন্যা সত্ত্বেও বাঁধ ভাঙেনি। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শেষ হলে দেশে যে বন্যা দেখা যায়, তার প্রকৃতি পরিবর্তিত হবে। তবে প্রকল্প এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন এবং দখল বন্ধ করা না হলে এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না। কমিটির সভাপতি কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

 তবে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদীতে ঠিকাদারের কাজ সন্তোষজনক নয়। মাত্র তিন কিলোমিটার খনন হয়ে বাকি কাজ বন্ধ রয়েছে। এ চিত্র যদি সবখানে দেখা যায়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ প্রকল্পের থিম বাস্তবায়িত হবে না। চলতি বছরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নে নজরদারি বৃদ্ধির সুপারিশ করে কমিটি। সংসদ ভবনে গতকাল ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে উপস্থাপিত গত বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং নুরুন্নবী  চৌধুরী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে জানানো হয়, ২ হাজার ২৭৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। দেশে জলাবদ্ধতার ঝুঁকি কমিয়ে, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি, নৌ-চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ মৎস্য চাষ বৃদ্ধির জন্য বড় নদীর সঙ্গে ছোট নদী ও খালের পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে গৃহীত এ প্রকল্পটি অনুমোদনের আগে দেড় বছর ধরে স্টাডি করা হয়। সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকালের বৈঠকে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং কুমিল্লা জেলার পুরাতন ডাকাতিয়া-নতুন ডাকাতিয়া নদী সেচ ও নিষ্কাশন প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। কমিটি ধরলা নদীর গতিপথ আঁকবাঁকা না রেখে সোজা করার সুপারিশ করে। বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর