সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে নীরব সিলেট বিএনপি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে নীরব সিলেট বিএনপি

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে অসীম ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন হারিছ চৌধুরী। হাওয়া ভবনের নিয়ন্ত্রণকর্তাদের একজন ছিলেন তিনি। ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। তার ক্ষমতার দাপটে কোণঠাসা ছিলেন বিএনপির অনেক রথী-মহারথী। সেই দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলছেন, হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন লন্ডনে। আর তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরীর দাবি তার বাবা যুক্তরাজ্যেই যাননি। ওয়ান-ইলেভেনের পট পরিবর্তনের পর থেকে তিনি ঢাকায়ই ছিলেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। একসময় সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে বড় ভ‚মিকা রাখা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর খবরে নীরব সিলেট বিএনপি। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তার মরদেহ সিলেটে গ্রামের বাড়িতে এনে দাফনের দাবি জানালেও জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতারা নীরব ভ‚মিকা পালন করছেন। পরিবারের কাছ থেকে মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও কোনো শোকবার্তা দেওয়া হয়নি দলের পক্ষ থেকে।

ক্ষমতায় থাকাকালে হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে সিলেট বিএনপির যেসব নেতার দহরম-মহরম ছিল, মৃত্যু সংবাদে তারাও মুখ খুলতে নারাজ। সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার তো এখনো নিশ্চিত নন হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর ব্যাপারে। তার ভাষ্যমতে, ‘আশিক চৌধুরী বলছেন, হারিছ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে লন্ডনে। আর মেয়ে বলছে ঢাকায়। আমরা আসলে এখনো হারিছ ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজালের মধ্যে আছি।’ সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম বলেন, ‘জাীবন-মৃত্যু নির্ধারিত। হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। আপাতত দলের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুতে কোনো শোক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়নি।’

সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী প্রশ্ন তুলেছেন হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু ও দাফনের খবর গোপন রাখা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘হারিছ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন রয়েছে। তার মৃত্যুর খবর ও দাফন কেন গোপন রাখা হলো- এ প্রশ্নই এখন মুখ্য বিষয়। হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর ব্যাপারে আমরা কেবল অবগত হলাম। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে শোক কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সিলেট জেলা যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু বলেন, ‘বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই হারিছ চৌধুরী দলটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সত্যি সত্যি তাকে ঢাকায় দাফন করা হলে সেখান থেকে মরদেহ এনে সিলেটে দাফন করা উচিত।’

নেতারা নীরব থাকলেও হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। হারিছ চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় যেখানে দাফন করা হয়েছে সেখান থেকে এনে সিলেটে অথবা তার গ্রামের বাড়িতে দাফনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর