শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজধানীতে তৎপর ‘লও ঠেলা’ গ্রুপ

র‌্যাবের হাতে আটক দলনেতা দশের বাবুসহ ৯ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদার দাবিতে হামলা, ভাঙচুর এবং অস্ত্র নিয়ে দুই দফা মহড়ার পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ‘লও ঠেলা’ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন- দলনেতা বাবু ওরফে দশের বাবু, মো. ফোরকান, মো. পলাশ, মো. সুমন, মো. সাগর, মো. রাজন, মো. নাজিম, শাকিল এবং মিলন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি, ৫টি ছুরি, স্টিলের পাইপ, হোল্ডিং চাকু এবং একটি চেইন পাওয়া যায়। গতকাল মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত। তিনি বলেন, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং গত ১৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় চাঁদার দাবিতে বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর, হামলা এবং দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেয় একটি গ্রুপ। এই ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে র‌্যাব জানতে পারে ‘লও ঠেলা’ নামে একটি কিশোর গ্যাং এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে বাবু ওরফে দশের বাবু। বাবুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক, ছিনতাইসহ ৬টি মামলা রয়েছে। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, নবোদয়, বসিলা, চাঁদ উদ্যান এলাকায় তৎপর ছিল গ্রুপটি।

এসব এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, জবর দখল, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন এবং আধিপত্য বিস্তারসহ এককভাবে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল কিশোর গ্যাং ‘লও ঠেলা’ গ্রুপ। প্রায় ২০/২২ বছর আগে বাবু তার মায়ের সঙ্গে ঢাকায় আসে এবং গাড়ির হেলপার, হোটেল বয় হিসেবে কাজ করতে গিয়ে মাদকে আসক্ত হয়। পরে মোহাম্মদপুরের নবোদয় এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপ ‘ভাইব্বা ল কিং’ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সবার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ করে অপরাধ জগতে সে ‘দশের বাবু’ খেতাব পায়।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক আবু নাঈম আরও বলেন, ২০১৭ সালে সে ‘ভাইব্বা ল কিং’ নামের গ্রুপ থেকে বের হয়ে তার মতাদর্শের কিশোরদের নিয়ে ‘লও ঠেলা’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করে। বর্তমানে ‘ভাইব্বা ল কিং’ গ্রুপের কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করায় তাদের কর্মকান্ডে ভাটা পড়ে। এই সুযোগে ‘লও ঠেলা’ গ্রুপ একচেটিয়া বিভিন্ন ধরনের অপরাধ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রেফতারকৃতরা ক্ষুদ্র ব্যবসা, অটোচালক, রিকশাচালক, গাড়ি চালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল। ৬টি মামলার আসামি বাবু ছাড়াও গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ফোরকানের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি, পলাশের নামে হত্যাচেষ্টা আইনে একটি, শাকিলের নামে একটি মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর