শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
জাবির গবেষণা তথ্য

পাঁচ কোম্পানির টি-ব্যাগে মিলেছে ক্ষতিকর কণা

শরিফুল ইসলাম সীমান্ত, জাবি

দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কোম্পানির টি-ব্যাগে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার উপস্থিতি পেয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। গবেষণার নমুনা হিসেবে দেশের পাঁচটি ব্র্যান্ডেড কোম্পানির টি-ব্যাগ নেওয়া হয়। যার সবগুলো ব্যাগেই উল্লেখযোগ্য হারে ক্ষতিকর উপাদান মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা, উচ্চ শতাংশে মাইক্রোপ্লাস্টিক টুকরা, আঁশ এবং বিপুল পরিমাণ লাল, নীল, বাদামী রঙের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও গবেষক সাদিয়া আফরিন, মোস্তাফিজুর রহমান, আহেদুল আকবর, আবু বকর সিদ্দিক, খবির উদ্দিন এবং ব্রাজিলের ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন, সায়েন্স  অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক গিলার্ম ম্যালাফিয়ার যৌথ গবেষণা ‘ইজ দেয়ার টি কমপ্লিমেন্টেড উইদ দ্য এপিলিং ফ্লেভার অব মাইক্রোপ্লাস্টিকস এ পাইওনিয়ারিং স্টাডি অন প্লাস্টিক পলিউশন ইন কমার্শিয়ালি এভেইলএবল টি ব্যাগস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে। গবেষণাটি ইতোমধ্যে জনপ্রিয় জার্নাল ‘সায়েন্স অব টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ কর্তৃক গৃহীত এবং অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত গবেষণায় আরও উঠে আসে টি-ব্যাগে থাকা বেশিরভাগ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা ইথিলিন ভিনাইল এসিটেট (ইভিএ), সেলুলোজ এসিটেট (সিএ) এবং এক্রিলোনাইট্রাইল বিউটাডাইইন স্টাইরিন (এবিএস) পলিমার দিয়ে তৈরি। গবেষকরা দাবি করেছেন ঢাকার টি-ব্যাগ থেকে প্রতি বছর গড়ে ১০.৯ মিলিয়ন গ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিকস নির্গমন হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মানবদেহে মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানতে এখনো তেমন কোনো কাজ হয়নি। তবে আমরা পশু-পাখির ওপর এর আগে গবেষণা করেছি। প্লাস্টিক হজম হয় না, তাই এটি দেহে জমা থাকে এবং অন্যান্য ক্ষতিকর দূষক ও অণুজীবের ভেক্টর হিসেবে কাজ করে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর