স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি ১৯৭৫ সালের কালো অধ্যায়ের সময়েও রাজনীতিতে মুজিবের রাজনৈতিক আদর্শকে সগৌরবে ধারণ করেছেন। সব সংকটে তিনি ছিলেন অকুতোভয় কাণ্ডারি। তাঁর প্রজ্ঞা, মেধা, সৃষ্টিশীলতা ও দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের জনগণের নিকট অনুসরণীয় হয়ে থাকবেন। তার অবদানের কথা জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। এ সময় তিনি সব নারীকে সাজেদা চৌধুরীর কর্মময় জীবন অনুসরণ করার আহ্বান জানান। গতকাল সদ্যপ্রয়াত সংসদ উপনেতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় জাতীয় সংসদ আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এ সময় বক্তারা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলটি শুরু হয়। পরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সংসদ সদস্যসহ সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।