বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্ধারিত সময়ে নামজারি না হওয়ার ব্যাখ্যা চেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্ধারিত সময়ে নামজারি না হওয়ার ব্যাখ্যা চেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়

২৮ দিনের বেশি সময় ধরে ই-নামজারি মামলা বা আবেদন অনিষ্পন্ন থাকার কারণ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কালেক্টরদের (জেলা প্রশাসক) চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ৬ ডিসেম্বর থেকে এ চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। গতকাল ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে যেসব উপজেলা কিংবা সার্কেল ভূমি অফিসে নামজারিতে ২৮ দিনের বেশি সময় লাগছে, সেখানকার দায়িত্বরত সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) থেকে ব্যাখ্যা সংগ্রহ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর (সাধারণ আবেদনে) নিয়ম অনুযায়ী ২৮ দিনের মধ্যে ই-নামজারি নিশ্চিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া সমীচীন হবে তা গ্রহণ করবে ভূমি মন্ত্রণালয়।

জাতীয় ভূমি সেবা কাঠামো www.land.gov.bd গিয়ে ই-নামজারি ট্যাবে ক্লিক করলেই বিগত ৯০ দিনের জাতীয়, বিভাগ ও জেলাওয়ারি ই-নামজারি আবেদনের সংখ্যা, মঞ্জুরের হার ও গড় নিষ্পত্তি দেখা যাবে। এ ছাড়া নিজ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখার সুযোগ রয়েছে।

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নামজারি বাতিল না করার নির্দেশ : অন্যদিকে আবেদনকারীকে আত্মপক্ষের সুযোগ ছাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরাসরি নামজারি আবেদন নামঞ্জুর (বাতিল) না করার জন্য সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্দেশনা দিয়ে ৪ ডিসেম্বর একটি পরিপত্র জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান সই করা পরিপত্রে সাত দিনের মধ্যে উপজেলা, সার্কেল ভূমি অফিসে নামজারি বিষয়ক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্যও ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে ২৮ দিনের মধ্যে নামজারি নিষ্পত্তি করা সহজ হয়।

পরিপত্রে নামজারি কার্যক্রমে ওয়ারিশ সনদ ‘প্রত্যয়ন সিস্টেম’ হতে গ্রহণের ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যয়ন সিস্টেমের সঙ্গে নামজারি সিস্টেমের আন্তসংযোগ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আপাতত ব্যক্তির মৃত্যুর পর ইস্যু করা ওয়ারিশ সনদের মেয়াদ উন্মুক্ত রাখার কথাও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলাকালীন স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের ৪ ধারা নোটিস জারির পর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নামজারি করার ব্যাপারেও নির্দেশ জারি করা হয় পরিপত্রে। ৪ ধারা নোটিস জারির আগে সম্পাদিত দলিলের ভিত্তিতে বা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা পরিবর্তিত হলে অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার স্বার্থে নামজারি করা যাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয় পরিপত্রে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর