রাত পোহালে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্র করে নগরীকে আটস্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। সহিংসতা এড়াতে ৩৩টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন ঘিরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ভ্রাম্যমাণ আদালত, গোয়েন্দা নজরদারি, মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট, রিজার্ভ ফোর্সসহ আট ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনে ২২৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসব কেন্দ্র কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রে চারজন পুলিশ, ছয়জন পুরুষ আনসার, চারজন নারী আনসার ও দুজন অস্ত্রধারী আনসার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছাড়া সাধারণ কেন্দ্রের জন্য তিনজন পুলিশ সদস্য, ১০ জন নারী ও পুরুষ আনসার এবং দুজন অস্ত্রধারী এপিবিএন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে র্যাবের ১৭টি টিম কাজ করবে। ১৯টি বিজিবি টিম সার্বক্ষণিক নির্বাচনী শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঠে থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মোবাইল টিম থাকবে। এ ছাড়া ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারবেন। তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সারা শহরে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারির জাল বিছানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। কেউ যাতে বেআইনি কিছু করে পালিয়ে যেতে না পারে এজন্য প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ধরনের নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করা হয়েছে নির্বাচন ঘিরে। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মিলে দুই হাজারের বেশি সদস্য মাঠে নামানো থাকবে। এ ছাড়া কয়েকশ’ পুলিশকে রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত করেছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
নির্বাচনে নয়জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ মোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নগরীতে দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন বড় কিছু ঘটেনি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরা পরস্পর বাগ্যুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে শুধু জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তেমন একটা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেননি প্রার্থীরা। সব মিলিয়ে দেখা গেছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা শেষ করেছেন। এখন নগরবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের।
 
                         
                                     
                                                             
                                     
                                     
                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        